জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, বকশিগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার আরো ৪০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। বন্যার কারণে জেলার ১৯০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।

এ ছাড়া জেলার পাঁচটি উপজেলার ২৭টি ইউনিয়নের ২০৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে জামালপুরের দেড় লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।

খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট, পয়ঃনিষ্কাশন ও গবাদি পশু সংরক্ষণ নিয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছে তারা। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের জন্য সরকারিভারে ১৮৭ টন চাল ও নগদ ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

কোনো কোনো স্থানে ত্রাণ পৌঁছলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। বন্যাকবলিত বেশির ভাগ এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি।

কিছু মানুষ উঁচুস্থানে আশ্রয় নিলেও খোলা আকাশের নিচে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে অনেকেই। এ ছাড়া বন্যাকবলিত অনেকস্থানে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে নদীভাঙন।

বন্ধ রয়েছে ১৯০টি স্কুল-কলেজের পাঠদান। দুর্গত এলাকায় বীজতলা ও সবজিক্ষেত পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় ব্যাহত হচ্ছে উপজেলা পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম। এছাড়াও দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশনের কলোনিসহ পৌর এলাকার বেশির ভাগ রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে।

(ওএস/এএস/জুলাই ২৭, ২০১৬)