নাগরপুর (টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি :যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়িসহ আবাদি ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর  পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। আর বেশি বিপাকে পড়েছে বন্যা কবলিত এলাকার জনসাধারণ তাদের গৃহপালিত পশু গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি এবং ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে ।

বন্যাকবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে দেখা দিয়েছে ডায়রীয়া, সর্দি, কাঁশি জ্বরসহ নানা রোগ ব্যাধি। কিন্তু বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে যাতায়াতের রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না বন্যাকবলিত মানুষগুলো।

বন্যায় ভারড়া, গয়হাটা, মোকনা, পাকুটিয়া, ধুবড়িয়া, বেকড়া, সলিমাবাদ, দপ্তিয়র, সহবতপুর ও নাগরপুর সদর ইউনিয়নের আংশিক প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার ভাড়রা, গয়হাটা, ভাদ্রা ও দপ্তিয়র ইউনিয়নের বেশির ভাগ বাড়িঘর বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় কোন প্রকার ত্রাণ পৌঁছায়নি। বন্যাকবলিত এলাকার জনসাধারণ তাদের গৃহপালিত গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি ও ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।

ভারড়া ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দিক এ প্রতিবেককে জানান, ভাড়রা ইউনিয়নের প্রায় ৯৫ ভাগ বাড়ীঘর বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। নাগরপুর চৌহালী সড়কে বন্যার পানি উঠায় চৌহালী, কোদালিয়া, শাহজানী, আটাপাড়া, রংছিয়া, সুঠাইনসহ বিভিন্ন গ্রামের জনসাধারণের উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন গ্রামের মানুষজন বন্যাকবলিত হয়ে পড়লেও বন্যাকবলিত এলাকায় কোন প্রকার ত্রাণ পৌঁছায়নি। ফলে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের দুঃখ-কষ্ট আকাশ সমান।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তালিকা পেলে জেলায় যোগাযোগ করে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।



(আরএসআর/এস/জুলাই ২৮,২০১৬)