গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে কালনা ফেরিঘাটে মধুমতি নদীতে নৌকা ডুবিতে বাধঁন মুন্সি (৭) নামে এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নৌকাটি নড়াইলের লোহাগাড়ার কালনা ফেরি ঘাট থেকে ১৬/১৭ জন যাত্রী নিয়ে কাশিয়ানীর কালনা (শংকরপাশা)ফেরি ঘাটে আসছিল। ফেরী ঘাটে খেয়া নৌকাটি কাশিয়ানীর কালনা (শংকরপাশা)অংশে ভেড়ার আগ মুহুর্তে অন্য একটি ট্রলার নৌকার সাথে ধাক্কা লাগে এবং এক পর্যায়ে ঘাটে দাড়িয়ে থাকা ফেরীর সাথে ত্রিমুখি ধাক্কা লাগে। ফলে প্রচন্ড স্রোতের মধ্যে পড়ে নৌকাটি পানিতে ডুবে যায়। এতে বাঁধন মুন্সি নামে এক শিশু নিখোঁজ হয় বলে তার মা মিনা বেগম নিশ্চিত করেছেন।

তিনিও ওই নৌকায় দুই শিশুকে নিয়ে নদী পার হচ্ছিলেন। তিনি এক শিশুসহ অন্যদের সহায়তায় পাড়ে উঠতে সক্ষম হন। মিনা বেগম তাঁর দুই বাচ্চা নিয়ে যশোর থেকে কাশিয়ানীতে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসছিলেন।

নৌকা ডুবীর সাথে সাথে স্থানীয়রা বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করেন।কয়েকজন পানির তোড়ে হারিয়ে গেছেন এমন আশংকা করেছেন কেউ কেউ। তবে প্রশাসনের কেউ তা নিশ্চিত করেননি।

ঘটনার পরপর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জেলা সদর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল সেখানে ছুটে যায়। দুপুর নাগাদ খুলনা থেকে সেখানে পৌঁছে যায় একটি ডুবুরী দল। উদ্ধার অভিযান চালায় যৌথভাবে। কিন্তু, নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ডুবুরীরা কাজ করতে সমস্যায় পড়ায় বেশ কিছু সময় তারা উদ্ধার তৎপরতা চালাতে পারেননি। পরে বিকেলের দিকে তারা আবারো উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন।

কাশিয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান জানান, তিনি ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তিনিও বেশ কয়েকজন যাত্রী নিখোঁজ হয়েছেন বলে শুনেছেন বলে জানান। তবে একটি শিশুর স্বজন ছাড়া আর কারো স্বজনের নিখোঁজ থাকার কথা কেউ বলেনি বলে তিনি জানান।

কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী নুর হোসেন সাংবাদিকদেরকে জানান, উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে ডুবুরিরা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৫ টা)কোন লাশ উদ্ধার হয়নি।

কাশিয়ানী উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান জানান, ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরীদল উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত একটি শিশু নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে।নদীর স্রোত উদ্ধার তৎপরাতায় বিঘ্ন হচ্ছে। তবে তারা উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান।

গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নিয়ামুল হুদা জানান, নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রাখবেন।

(পিএম/এএস/জুলাই ২৮, ২০১৬)