রাজশাহী প্রতিনিধি :রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় পলাতক দুই আসামিকে ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ। আজ শুক্রবার দুইটি জাতীয় দৈনিকে ওই দুই আসামির ছবিসহ নাম ও পরিচয় প্রকাশ করে পুরস্কার ঘোষণার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদ ও পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানার সোনারহার গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়া ওরফে মুন্নার ছেলে নজরুল ওরফে হাসান ওরফে বাইক হাসান অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট পলাতক আসামি। এদের সম্পর্কে তথ্যদাতাদের রাজশাহী মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে নগদ এক লাখ টাকা করে পুরস্কৃত করা হবে। তথ্যদাতার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে। তথ্য দিতে ০১৭১৩-৩৭৩৩০৩ অথবা ০১৭১৩-৩৭৩৩০০ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রায় এক বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন তিনি। গত ৪ জুলাই শরিফুলের সন্ধান চেয়ে বাগমারা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তাঁর বাবা। অপর পলাতক আসামি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।

এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ইফতে খায়ের আলম বলেন, "অধ্যাপক রেজাউল হত্যাকাণ্ডে পলাতক শরিফুল ও নজরুলের জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা দুজনই জেএমবির সদস্য।" এর আগে জেএমবি সদস্য মাসকাওয়াত হাসান সাকিব ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তিনি পুলিশ হেফাজতে শরিফুল ও নজরুলের সংশ্লিষ্টতার তথ্য দেন বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশ মুখপাত্র ইফতে খায়ের।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ এপ্রিল নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসার অদূরে সন্ত্রাসী হামলায় নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন অধ্যাপক সিদ্দিকী। ওই দিন বিকেলে অধ্যাপকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পরদিন ২৪ এপ্রিল পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়। পরে এ হত্যাকাণ্ডে জেএমবি জড়িত বলে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে হাফিজুর রহমান নামে এক শিবিরকর্মী পুলিশ হেফাজতে 'অসুস্থ' হয়ে মারা যান।


(ওএস/এস/জুলাই ২৯,২০১৬)