চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দপুরে বাউল জুলমত শাহর আখড়ার কুড়ে ঘরে আগুন দিয়ে  জ্বালিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় সাধু জুলমত খা (৬৫) ও সাধু নগেন হালদার (৬০) কে চুল কেটে এবং পিটিয়ে অনানুষিক নির্যাতন করে। এ ছাড়া দুই বাউলকে নির্যাতন করা হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত জুলমত খা একই গ্রামের মৃত খোরশেদ ম-লের ছেলে এবং একই উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের।

জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১টার দিকে আট থেকে নয়জন যুবক আখড়ায় ঢুকে । তারা প্রথমে ফকির জূলমত শাহের চোখ ও হাত-পা বেঁধে আশ্রমের ভেতরে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা স্ত্রী মোমেনা বেগম ও রিনুপদ হালদারের (গুরু ভাই) চোখ-হাত-পা বেঁধে রাখা হয়। এর পর দুর্বৃত্তরা তাঁর ও রিনুপদ হাওলাদারের চুলের অনেকটা অংশ কেটে দেয়। এসময় তারা আস্তানায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।


জুলমত শাহ বলেন, দুর্বৃত্তরা আমাদের মাথার চুল কেটে অমানুষিক নির্যাতন করে আস্তানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। তাঁদের দুটি বসতঘর ভষ্মিভুত। আগুনে ১৭ হাজার টাকা, বইপত্র, আসবাবপত্র, অনেক কাথা ও বালিশ, এক বস্তা চাল, শ্যালো মেশিন পুড়ে গেছে। অনেক গাছও কেটে ফেলেছে তারা। এতে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান
শনিবার দুপুর ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, জুলমত শাহর ন্যাংটা বাবার অনুসারী। আশ্রমের পাশে ১টি কুড়ে ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে তিনি নিজে ও তদন্ত কর্মকর্তা (পরিদর্শক) আবদুল খালেক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।






(টিটি/এস/জুলাই ৩০,২০১৬)