বিনোদন ডেস্ক : হলিউডে দারুণ জনপ্রিয় অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। হলিউডের বাইরেও বিভিন্ন মানবিক ইস্যুতে তাকে সামনের সারিতেই দেখা যায়। সিনেমা আর ব্যক্তি জীবনের নানা ঘটনায় বারবার আলোচনায় এসেছেন তিনি।

যাপিত জীবনের বিভিন্ন ঘাটে তার সঙ্গী হয়েছেন বিভিন্ন পুরুষ। জোলির জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ পুরুষ নিয়েই সাজানো হয়েছে এ প্রতিবেদন। এই পুরুষদের প্রেরণা নানাভাবে জোলির আজকের অবস্থান তৈরি সহায়তা করেছে।

জন ভয়েট
হলিউডে জোলির প্রথম পদক্ষেপের পিছনে নিঃসন্দেহে পারিবারের বিরাট ভূমিকা ছিল। বাবা জন ভয়েট হলিউডের নামকরা অভিনেতা। ‘ইউ টার্ন’ থেকে ‘ডেলিভারেন্স’ ছোট কিংবা বড়, যে কোনো ধরনের ক্যারেকটার রোলেই ভয়েট অসাধারণ। এমনকী ‘অ্যানাকনডা’র মতো ছবিতেও প্রশংসিত তার অভিনয়।

জেমস হ্যাভেন
পুরো নাম জেমস হ্যাভেন ভয়েট। জোলির দাদা। ‘গার্ল ইন্টারাপটেড’ ছবির জন্য অস্কার নিতে এসে জোলি মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, সেই মুহূর্তে তিনি নিজের দাদার প্রেমে পাগল। পুরস্কারের মঞ্চে তিনি এবং তার দাদাও হাজির হয়েছিলেন হ্যান্ডকাফ বেঁধে। পরিস্থিতি নিয়ে তখন বেশ জলঘোলা হলেও, পরে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।

জনি লি মিলার
ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করে মিলার খুব বেশি লাইমলাইটে আসতে পারেননি। সম্প্রতি তিনি সাইমলাইটে এসেছেন ‘এলিমেন্টারি’তে অভিনয় করে। কিন্তু এর আগেও তিনি প্রচারের জন্য আলোয় ছিলেন। তিনিই জোলির প্রথম স্বামী। ‘হ্যাকারস’ ছবিতে অভিনয়ের সময় প্রেম আর তারপর বিয়ে। নিজের জামায় রক্ত দিয়ে মিলারের নাম লিখে জোলি ঘুরতেন বলেও শোনা যায়।

বিলি বব থর্নটন
১৯৯৯ সালে মিলারের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর ‘পুশিং টিন’ ছবিতে কাজ করার সময় থর্নটনের সঙ্গে প্রেম জোলির। ২০০০ সালে বিয়ে আর তারপর ২০০৩-এ বিবাহ বিচ্ছেদ। তার মধ্যেও থর্নটন এবং জোলি ছিলেন সংবাদ মাধ্যমের চোখের মণি। ‘পুশিং টিন’-এর শেটে তাদের প্রেমের কাহিনি এখনো লোকের মুখে মুখে আলোচিত হয়।

ব্র্যাড পিট
‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ করার সময় থেকেই প্রেম হয় দু’জনের মধ্যে। তবে বৈবাহিক সূত্রে এখনো আবদ্ধ নন তারা। কোনো দিন হবেন কিনা, তাও কেউ জানে না। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু শিশুকে দত্তকও নিয়েছেন এ জুটি।

(ওএস/এস/জুন ০৯, ২০১৪)