রাজশাহী প্রতিনিধি : পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি করবে খোলা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, আগামি ১৫ জুন ঢাকায় ও আগামিকাল মঙ্গলবার রাজশাহিতে খোলা বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করবে সংস্থাটি।

জানা গেছে, ঢাকায় টিসিবির নিজস্ব ৪টি বিক্রয় ক্রেন্দ্রসহ প্রায় ৩৫টি স্থানে ট্রাকে করে এই বিক্রি কার্যক্রম চালাবে সংস্থাটি।

চলতি বছর ৩ হাজার মেট্রিক টন তেল, দেড় হাজার মেট্রিক টন ছোলা, ১৫০ মেট্রিক টন খেজুর ও ২ থেকে ৩ হাজার মেট্রিক টন মশুর ডাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

চিনি, ডাল ও তেলের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও খেজুর ও ছোলা এখনও সংস্থাটির হাতে এসে পৌঁছেনি। তবে সংস্থাটি আশা করছে আগামি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে পণ্য দু’টি তাদের কাছে পৌঁছাবে। আর এটি আসলে রমজানের জন্য সব পণ্যের মজুদ থাকবে টিসিবির কাছে।

জানা যায়, তানজানিয়া থেকে দেড় হাজার মেট্রিক টন ছোলা আমদানি করা হচ্ছে যা চলতি মাসের ২৭ কিংবা ২৮ তারিখে সংস্থাটির কাছে পৌঁছাবে। আর ইরাক কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেড়শো মেট্রিক টন খেজুর আমদানি করা হচ্ছে যা আগামি মাসের ৮ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে হাতে পাবে।

এদিকে, রাজশাহি টিসিবি আগামিকাল মঙ্গলবার থেকে খোলাবাজারে নিত্যপণ্য বিক্রি শুরু করবে। প্রথমদিকে চিনি, সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও ছোলা বিক্রি করবে। আগামি ২ সপ্তাহের মধ্যেই রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় বাকি পণ্য বাজারে ছাড়বে টিসিবি।

টিসিবির ভারপ্রাপ্ত রাজশাহী আঞ্চলিক অফিস প্রধান আনিসুর রহমান আনিসুর রহমান জানান , প্রথম পর্যায়ে মঙ্গলবার থেকে রাজশাহী নগরীতে এবং বিভাগের বাকি জেলা সদর পর্যায়ে ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি শুরু হচ্ছে। এরমধ্যে রাজশাহী নগরীতে পাঁচটি এবং প্রতিটি জেলা সদরে দুটি করে ট্রাক নামানো হবে। এসব ট্রাকে চিনি, সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও ছোলা বিক্রি করা হবে।

ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজিতে দাম পড়বে চিনি ৩৯টাকা, মসুর ডাল (তুরস্ক/মিশর থেকে আমদানীকৃত) ৬৫ টাকা এবং ছোলা (তাঞ্জানিয়া থেকে আমদানীকৃত) ৪৪টাকা। আর প্রতি লিটার সয়াবিন তেল (৫ লিটারের বোতলে ফ্রেস ব্র্যান্ডের) ১০৬টাকা এবং (৫ লিটারের বোতলে পুষ্টি ব্র্যান্ডের) ১০৭টাকা।

একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ ৪ কেজি করে চিনি, মসুর ডাল ও ছোলা এবং ৫ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। এর নিচে যে কোন পরিমাণে পণ্য কিনতে পাওয়া যাবে এসব ট্রাক থেকে।

তিনি আরো বলেন, টিসিবির পণ্য বাজারে থাকলে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। এছাড়া টিসিবির পণ্য বিক্রিতে যেকোন ধরণের অব্যবস্থাপনা ঠেকাতে টিসিবির পাশাপাশি সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত রাখবে বলে জানান ওই টিসিবি কর্মকর্তা।

টিসিবি সূত্রে জানা যায়, রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতেই এ উদ্যোগ। একই সাথে জোরদার হতে চলেছে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা। এতে ভোক্তা সাধারণের ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে।

(ওএস/এস/জুন ০৯, ২০১৪)