গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের গোয়াবাহারা গ্রামে লেট্রিনের সেফটিক ট্যাংকের মধ্য থেকে উদ্ধার হওয়া ৪ বছরের শিশু নাহিদ হত্যা রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। শিশুটির মামি ফাতেমা বেগম (২২) তাকে হত্যা করে অন্যদের সহায়তায় সেফটিক ট্যাংকের মধ্যে লুকিয়ে রাখে।

মঙ্গলবার বিকেলে গোপালগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ দলিল উদ্দিন-এর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে শিশুটির মামি ফাতেমা স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দি প্রদান করেছে বলে গোপালগঞ্জ পিবিআই-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২৫ ফেব্রুয়ারী শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর তিনদিন আগে ২২ ফেব্রুয়ারি সে নিখোঁজ হয়। সে মুকসুদপুরের গোয়াবাহারা গ্রামে নানা আদম আলি শেখের বাড়িতে লালন পালন হচ্ছিল। এ বিষয়ে নিহত ওই শিশুর পিতা আবুল হাসান জনি বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন (মামলা নং-২১)।

মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করে। সূত্র আরো জানায়, গত ৩১ জুলাই নিহত শিশুর মামি ফাতেমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সে হত্যাকান্ড ঘটানো এবং অন্য আত্মীয়দের সহযোগিতায় লাশ গুম করে ফেলার ঘটনা খুলে বলে।

এ ঘটনার সাথে জড়িত ফাতেমা বেগম (২২) ছাড়াও সহযোগী আব্দুল হক সরদার (৪০), খায়রুল ঢালী (৩৫) ও লিটন (২৮) নামে ৪ জন পুলিশের হাতে গ্রেফতার রয়েছে বলে পিআইবি-র উপ-পরিদর্শক আব্দুল মজিদ জানিয়েছেন।

(পিএম/এএস/আগস্ট ০২, ২০১৬)