রাজীবুল হাসান, গাজীপুর : গাজীপুরের শ্রীপুরে ৩ জনকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় নিহত নাসরিন মন্ডল, মেহেরুন আক্তার ও শিশু জায়মার পরিবারে নেমে এসেছে শোকের মাতন। একই পরিবারের ৩ জনকে হারিয়ে পুরো পরিবার  শোকবিহ্বল অবস্থা। শোকাহত পরিবারটির পাশাপাশি পুরো এলাকায় এই মৃত্যু নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

জানা গেছে, পালিত মেয়ের ঘরের নাতনি জায়মার মাথায় ছিল টিউমার। ডাক্তার দেখাতে গত রবিবার সকালে নাতনি জায়মা, ভাতিজি নাসরিন মন্ডলকে সাথে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মেহেরুন। সালমা নামে এক ভাড়াটিয়াকে বলে এসেছিলেন ফিরতে একটু সন্ধ্যা হতে পারে। সন্ধ্যা পেরিয়ে যাচ্ছে তারা বাড়ি ফিরছে না। পরে সম্ভব্য সকলস্থানে তাদের খোঁজাখুজি শেষে না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এ ঘটনার পর সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে সিরাগঞ্জের যমুনা নদী থেকে শিশুসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে এমন খবর টিভিতে দেখে খোঁজ নিতে শুরু করে নিহতের স্বজনরা। টিভিতে নিহত ওই তিন জনের ছবি দেখে পরিবারের লোকজন তাদের ব্যাপারে কিছুটা নিশ্চিত হয়ে সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে গিয়ে মৃতদেহগুলো সনাক্ত করেন।

নিহতরা শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটী ইউনিউনের টেংরা গ্রামের বাদল মন্ডলের স্ত্রী নাসরিন মন্ডল (৩২), হাদিউলের স্ত্রী মেহেরুন আক্তার (৪৪) ও তার পালিত মেয়ের ঘরের নাতনি শশু জায়মা (৪)। জানা যায়, শ্রীপুর উপজেলার টেংরা এলাকায় প্রথম স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি নহলে একই এলাকার বাদল মন্ডলের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে হয় নাসরিন আক্তারের । এরই মাঝে নাসরিন মাস্টার বাড়ী এলাকার রিজভি বস্ত্রলায়ের ম্যানেজার আল আমিনকে তৃতীয় বিয়ে করে। গত সোমবার দুপুরে নাসরিনের তৃতীয় স্বামী আল আমিন নাসরিনকে ঐ দোকানে নেয়।

সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দোকানের কর্মচারী নয়ন মিয়া ও আল আমিন নাসরিনকে স্বাসরোধ করে হত্যা করে। নাসরিনের ফুফু মেহেরুন আক্তার ও পালিত নাতনি জায়মা সাথে থাকায় তাদের কেউ স্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লাশ বস্তাবন্দি করে সিরাজগপোলিত মেয়ের ঘরের নাতনি জায়মার মাথায় ছিল টিওমার। ডাক্তার দেখাতে গত রবিবার সকালে নাতনি জায়মা, ভাতিজি নাসরিন মন্ডলকে সাথে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মেহেরুন। সালমা নামে এক ভাড়াটিয়াকে বলে এসেছিলেন ফিরতে একটু সন্ধ্যা হতে পারে। সন্ধ্যা পেরিয়ে যাচ্ছে তারা বাড়ি ফিরছে না।

পরে সম্ভাব্য সকলস্থানে তাদের খোঁজাখুজি শেষে না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এ ঘটনার পর সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে সিরাগঞ্জে যমুনা নদী থেকে শিশুসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে এমন খবর টিভিতে দেখে খোঁজ নিতে শুরু করে নিহতের স্বজনরা। টিভিতে নিহত ওই তিন জনের ছবি দেখে পরিবারের লোকজন তাদের ব্যাপারে কিছুটা নিশ্চিত হয়ে সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে গিয়ে মৃতদেহগুলো সনাক্ত করেন।

নিহতরা শ্রীপুর উপজেলার টেংরা গ্রামের বাদল মন্ডলের স্ত্রী নাসরিন মন্ডল (৩২), হাদিউলের স্ত্রী মেহেরুন আক্তার (৪৪) ও তার পালিত মেয়ের ঘরের নাতনি শশু জায়মা (৪)। জানা যায়, শ্রীপুর উপজেলার টেংরা এলাকায় প্রথম স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি নহলে একই এলাকার বাদল মন্ডলের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে হয় নাসরিন আক্তারের । এরই মাঝে নাসরিন মাস্টার বাড়ী এলাকার রিজভি বস্ত্রলায়ের ম্যানেজার আল আমিনকে তৃতীয় বিয়ে করে। গত সোমবার দুপুরে নাসরিনের তৃতীয় স্বামী আল আমিন নাসরিনকে ঐ দোকানে নেয়। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দোকানের কর্মচারী নয়ন মিয়া ও আল আমিন নাসরিনকে স্বাসরোধ করে হত্যা করে।

নাসরিনের ফুফু মেহেরুন আক্তার ও পালিত নাতনি জায়মা সাথে থাকায় তাদের কেউ স্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লাশ বস্তাবন্দি করে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের যমুনা নদীতে ফেলে দেয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে হত্যাকারীরা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে শ্রীপুর থানার এসআই সুজন কুমার পন্ডিত তিনজনকে আটক ও ব্যবহৃত গাড়ি জব্দ করে এনায়েতপুরের যমুনা নদীতে ফেলে দেয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে হত্যাকারীরা।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে শ্রীপুর থানার এসআই সুজন কুমার পন্ডিত তিনজনকে আটক ও ব্যবহৃত গাড়ি জব্দ করে । পরে সিরাজগঞ্জ থেকে লাশগুলো সন্ধ্যায় শ্রীপুর আনা হয়। রাত ৮ টার সময় নিজ এলাকায় ধাফন সম্পন করা হয়। আটককৃত আল আমিন, নয়ন ও গাড়ির ড্রাইবার রবিউলকে সিরাজগঞ্জ পুলিশের কাছে হসতান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রীপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ।

(আরএইচ/এএস/আগস্ট ০৩, ২০১৬)