চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :পাবনার চাটমোহর উপজেলার গ্রামীণ ব্যাংকগুলোতে রাষ্ট্র প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না থাকায় চাটমোহর শাখা অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে উপজেলা ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা সেই সাথে অফিসে জাতির পিতা শেখ মুজিবর রহমানের ছবির পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি লাগানোর জন্য ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম এবং গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি’র পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করেন। দাবি কার্যকর না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

এ সময় ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা গ্রামীণ ব্যাংক অফিসে টাঙানো ড. মুহাম্মদ ইউনুসের ছবি নামিয়ে সামনে অগ্নিসংযোগ করে প্রতিবাদ জানান।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল আলিমের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী পৌর শহরের বাসষ্ট্যান্ডে চাটমোহর শাখা অফিসে গিয়ে এক পাশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ছবি অন্য পাশে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের ছবি টাঙ্গানো দেখতে পান। কিন্ত বঙ্গবন্ধুর ছবির পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না দেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে নেতাকর্মীরা। এসময় শাখা ম্যানেজা কে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙ্গানোর জন্য আল্টিমেটাম দেন।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল আলিম বলেন, দেশের রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না লাগানো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের শেষ রক্ত বিন্দু থাকা পর্যন্ত এ সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে। ছাত্রলীগ অন্যায়ের কাছে মাথানত করেনা করবেও না।

এ সময় তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি রতন কুমার দে’র পদত্যাগ দাবি করে বলেন, এ ব্যাপারে তাদের এরিয়া ম্যানেজার ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের সাথে কথা বলেছি। তাদেরকে ২৪ ঘন্টা সময় দেওয়া হয়েছে। এর পরেও জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি না লাগালে কঠোর কর্মসূচী দেওয়া হবে। এ সময় তিনি সারাদেশব্যাপী প্রতিটি ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সজাগ হওয়ার পরামর্শ দেন এবং দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করার অনুরোধ জানান।

গ্রামীণ ব্যাংক চাটমোহর শাখা’র ম্যানেজার মঞ্জু আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি লাগানো আছে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগানোর ব্যাপারে আমাদের অফিসিয়ালি কোন নির্দেশনা নেই। তাই লাগানো হয়নি। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অফিসে এসে ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ছবি পুড়িয়েছে। আমি সকল বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
চাটমোহর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কোন অভিযোগও পাইনি।





(এসএইচএম/এস/আগস্ট ০৪,২০১৬)