ঋতুবতী কন্যা


রাত্রির পোশাক পরে তিন কন্যা
হেঁটে চলেছে স্বর্গের দিকে।
সব পুরুষ সমুদ্র পেরিয়ে
একটানা হেঁটে চলেছে,
পার হয়ে গেলো একা একাই
দীর্ঘ গমের ক্ষেত, মধ্যরাতের তুষার পথ,
রূপালী হিংস্রতা —
সব- সব, পেরিয়ে যাচ্ছে ক্রমশঃ
তিন ঋতুবতী মেয়ে।
সকাল, দুপুর আর রাত্রিতে
ক্রমাগত হেঁটে চলেছে পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রম করে।

মন্দিরের কপাট বন্ধ করেছে
কোনও পুরুষ পুরোহিত,
ঋতুবাহী শরীরে খুব অলীক লাল ধারা
বইছে তাই।
তাদের উদাসীন ঊরুদেশে লেখা হয়
তীক্ষ্ণ যুক্তাক্ষরে ভূর্যপত্র,
আরাত্রিকার নিষিদ্ধ বিষুবরেখা।
প্রবেশ নিষেধ দৈবালয়ে।
সজোরে নির্বাসন
মরা প্রজাপতির হলুদ দ্বীপে।
জানালার ঝিলমিলে
আটকে থাকে
উত্তাল নদীর ছবি,
ওপারে অস্ত মিহিরের ক্যানভাস।

নিষেধের কাঁটাতার ছিঁড়ে
তিনজন ঋতুবতী কন্যা হাঁটছে—
সোজাসুজি ঈশ্বরের দরবারে।
যারা শিশিরে ধুয়েছে শরীর,
খোঁপায় গুঁজেছে গাঙচিলের পালক,
আলো বিলিয়ে বিলিয়ে
পার হয়ে যাচ্ছে
নীলগ্রহ, অন্তরীক্ষ, স্পাইরাল গ্যালাক্সি।
একদিন তাদের শরীরের
সৃষ্টির রোদ্দুর,
উপনিষদের প্রার্থনা হয়ে
মিশে যাবে স্বর্গের
লাল, নীল, হলুদ, সবুজ সব
মেয়েলী ঋতুদের সাথে।


(এমএম/এস/আগস্ট ০৪,২০১৬)