কালিয়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : চোরের দশ দিন,গৃহস্থের এক দিন। এমন প্রবাদটি সত্যে প্রমাণিত হয়েছে নড়াইলের কালিয়া উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের রাস্তার সুপারভাইজার উৎপল দে’র বেলায়।

একাধিক বার কালিয়া-গোপালগঞ্জ সড়কের মূল্যবান সরকারি গাছ কেটে নিয়ে হজম করলেও সোমবার সকালে ওই সড়কের মূল্যবান সরকারি কোটে নেয়ার সময় স্থানীয় চৌকিদার ওই গাছ আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। গত ৬ মাসে ওই সুপার ভাইজার কতৃপক্ষের নাম ভাঙ্গিয়ে ওই সড়কের দু’পাশের প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের শতাধিক সরকারি গাছ কেটে নিয়েছে বলে ওই চৌকিদার কোবাদ আলী পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমরার ভোর ৬টার দিকে ওই সড়কের জয়পুর নামক স্থানের দু’পাশের প্রায় লাখ টাকা মূল্যের ২টি মেহগনি ও ২ টি গামারি গাছ কেটে নেয়ার সময় সালামাবাদ ইউনিয়নের চৌকিদার কোবদ আলী ওইসব কাটা গাছ আটক করেন। এবং স্থানীয় প্রশাসনকে জানালে সকাল ১১ টার দিকে কালিয়া থানা পুলিশ ওই গাছের গুড়ি জব্দ করে।

চৌকিদার কোবাদ আলী জানান, ভোরে ওই সড়কের সুপার ভাইজার মির্জাপুর গ্রামের কেষ্ট দের পুত্র উৎপল সহ ৪/৫ জন ওই গাাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি আটক করেন। এবং উৎপল তাকে টাকা দিয়ে গাছ চাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে চলে যায়।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন এর আগে বিভিন্ন সময়ে উৎপল ও তার সহযোগীরা কতৃপক্ষের নাম ভাঙ্গিয়ে ওই সড়কের শতাধিক সরকারি গাছ কেটে নিয়েছে। তিনি কয়েকবার ধরিয়ে দিলে পুলিশ সে সব গাছ জব্দ করলেও সুপারভাইজার উৎপলের কিছুই হয়নি।

অপরদিকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলেও রহস্যজনক কারণে এ এস আই জাকির হোসেন উৎপলকে আটক করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ এস আই জাকির হোসেন বলেছেন,উৎপল চাকরি করে তাকে পাওয়া যাবে বলে আটক করেননি। সুপার ভাইজার উৎপল দের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।

কালিয়ার উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ নাইম মাহামুদ বলেছেন,ওই গাছ জব্দ করা হয়েছে। কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেবেন।

কালিয়া থানার ওসি আব্দুল গনি বলেছেন, কাটা গাছের গুড়িগুলো জব্দ করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।

(এমএইচএম/এএস/আগস্ট ০৮, ২০১৬)