নিউজ ডেস্ক : আমাদের জীবনে এমন অনেক সময় আসে যখন আমরা একাকীত্ব বোধ করি। নানা কারণে আমাদের মন বিভিন্ন চাপে আচ্ছন্ন থাকে। আমাদের মাঝে তখন কষ্টের অনুভূতি সৃষ্টি হয়। মনের অজান্তেই অনেক স্মৃতি আমাদের মাঝে বিভিন্ন অনুভূতির সৃষ্টি করে। হয়ত, তার জন্য মন আরও খারাপ হয়ে যায়।

মন ভালো করার জন্য এখানে কিছু টিপস দেয়া হল। এগুলো অবলম্বন করলে আপনার মন ভালো হতে বেশি সময় লাগবে না।

* কাউকে বলুন:
আপনার যখন খারাপ লাগবে, তখন আপনার কাছের একজন মানুষ বা আপনার বন্ধুকে ফোন করুন। পৃথিবীতে বন্ধুর তুলনায় আর কোন কিছু নেই, যে আপনাকে যেকোনো মুহূর্তে খুশি করতে পারে। যদি সে আপনার প্রকৃত বন্ধু হয়, তাহলে সে আপনাকে খুশি করার জন্য যেকোনো কিছু করতে পারবে, কারন সে জানে, সে যখন কষ্টে থাকবে আপনি তাকে অবশ্যই সাহায্য করবেন।

* এগিয়ে যান:
হালকা ব্যায়াম, হাঁটা, নৃত্য করা, কিছু সময় দৌড়ানো ইত্যাদির সাহায্যে আপনার মনকে পরিষ্কার করুন এবং আপনার চিন্তা-ভাবনা রিফ্রেশ করুন। আপনি কিছু সময়ের মধ্যে ভালো অনুভব করবেন। ব্যায়ামের ফলে শরীর থেকে ইনডোরফিন নির্গত হয়। যার ফলে মানুষ ভালো অনুভব করে এবং ব্যায়ামের ফলে শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি পায়।

* বাহিরে যান:
মুক্ত বাতাস ও সূর্যের আলো শরীরের জন্য অনেক উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অফিসে বসে বসে কাজ করে, তাদের তুলনায় যারা বাহিরে ঘুরে ঘুরে কাজ করে তাদের স্ট্রেস এর পরিমাণ কম। কিছু সময় সূর্যের আলোর নীচে থাকার ফলে আপনার শরীরে ভিটামিন –ডি এর মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। যা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

* জোরে শ্বাস নিন:
প্রতিদিন কমপক্ষে একবার এক মিনিট দীর্ঘ শ্বাস নেয়ার চেষ্টা করুন। এর ফলে মন ভালো হবার সাথে সাথে স্বাস্থ্যের নানা প্রকার উপকার হয়। শরীরের ৭০ শতাংশ টক্সিন দূর করে, টেনশন ও স্ট্রেস দূর করে এবং হজমের সমস্যা দূর করে।

* আপনার পছন্দের খাবার খান এবং পানি পান করুন:
দুপুরের খাবারের পূর্বে যদি আপনার খারাপ অনুভূতি হয়, এর প্রধান কারন হতে পারে আপনি অনেক বেশি ক্ষুধার্ত। এসময় আপনার পছন্দমত খাবার খেয়ে নিন। এতে আপনার মনে অনেক আনন্দের সৃষ্টি হবে। ডিহাইড্রেশন এর প্রধান কারন হল পানির অভাব। যার ফলে অনেক সময় মেজাজের বিভিন্ন পরিবর্তন হয়ে থাকে। তাই, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি অবশ্যই পান করুন।

* এমন কোন কাজ করুন যা আপনার কাছে অনেক কিছু:
জীবনের অনেক বিষয় রয়েছে যা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এমনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। এতে আপনার মেজাজ ভালো থাকবে। অপ্রয়োজনীয় চিন্তা আপনাকে কষ্ট দিবে না।

* নেতিবাচক মানুষ থেকে দূরে থাকুন:
আশেপাশের মানুষ যদি নেতিবাচক চিন্তাধারার হয়, তাহলে তা নিজের জীবনে অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। তাদের কারনে অনেক সময় নিজের পথ বাধাগ্রস্ত হয়। তাই, আশেপাশে থেকে তাদের দূরে রাখাই ভালো। তখন আর মন খারাপ হবার কোন কারনও আপনি খুঁজে পাবেন না।

এই ৭টি পদ্ধতি অবলম্বন করুন। দেখবেন তাৎক্ষণিক আপনার মন ভালো হবার সাথে সাথে দীর্ঘসময় আপনি চিন্তামুক্ত থাকতে পারবেন।

(ওএস/এএস/আগস্ট ০৯, ২০১৬)