আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : দেশের বৃহৎ একটি জনগোষ্ঠি প্রতিবন্ধি। এই প্রতিবন্ধি জনগোষ্ঠির বিশেষ চাহিদা ও তাদের সম্ভাবনাকে মাথায় না রাখায় ২০০ সালে ঘোষিত মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোল বা এমডিজি প্রত্যাশিত উন্নয়ন সুবিধা থেকে ১৫ বছর বঞ্চিত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা “হু” এর মতে, বিশ্বে একশ কোটিরও বেশি বিশেষ জনগোষ্ঠির উন্নয়ন লক্ষমাত্রার কৌশল নির্ধারণ না করায় পদে পদে হোঁচট খেয়েছে এমডিজি বাস্তবায়ন।

প্রতিবন্ধিদের বাদ দিয়ে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন করা কখনোই সম্ভভ নয়। তাই শিক্ষা, কর্মসংস্থান, সমতা, প্রবেশগম্যতা ও এসডিজি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত ৭টি টার্গেট প্রতিবন্ধিদের জন্য বিশেষভাবে উল্লেখ সরকারের কাছে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সকল সুপারিশ সরকারের বাস্তবায়ন করলে বিশেষ জনগোষ্ঠিকে নিয়ে দেশ নিঃসন্দেহে এগিয়ে যাবে।

এ লক্ষে মঙ্গলবার সকালে আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাব হল রুমে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধি উন্নয়ন সংস্থা (বিপিইউএস) আয়োজনে “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চাই টেকসই কর্ম পরিকল্পনা ও প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের পূর্ণ অংশগ্রন” শীর্ষক সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সন্মেলনে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক দৃষ্টি প্রতিবন্ধি বদিউল আলম বাবুলের পক্ষে সরকারের কাছে দেশের প্রতিবন্ধি জনগোষ্ঠির বিশেষ চাহিদার উপর গুরুত্বারোপ করে এমডিজি বাস্তবায়নের জন্য দেশের প্রতিবন্ধিদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই সংস্থার নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান জেমস রিপন বাড়ৈ।

সংবাদ সন্মেলনে সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ি সমতাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্থান দেয়ায় সকল নাগরিকের আইনী মর্যাদা সমান করা হয়েছে। সেলক্ষে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নে প্রতিবন্ধিদের মৌলিক অধিকারের বিষয়, অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ দ্রুত বাস্তবায়ন, আন্তঃমন্ত্রণালয়ে সমন্বয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বেসরকারী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, প্রতিবন্ধিদের জন্য লিগ্যাল এইডসহ সকল আইনী সেবা সহজলভ্য করন ও ন্যায় বিচার প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করাসহ ১০টি মুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সংস্থার প্রশাসনিক সম্পাদক মিঠু মধু, মনিটরিং অফিসার মো. জসীম উদ্দিন, প্রোগ্রাম অফিসার নাসির উদ্দিন, প্রধান হিসাব রক্ষক অম্বরিশ হালদার, বিপিইউএস সদস্য আফরোজা আক্তার নীপা, মো, আনোয়ার হোসেন, জামাল হোসেন, আনিচুর রহমান প্রমুখ।

(টিবি/এএস/আগস্ট ০৯, ২০১৬)