বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ‘বড়লেখা ইন্টারন্যাশনাল পিস স্কুল’ নামে একটি অনুমোদন বিহীন স্কুলের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের ঘোলসা গ্রামে প্রায় দেড় বছর ধরে পিস স্কুল নামে এই স্কুলটি পরিচালিত হয়ে আসছে।

২০১৫ সালে যাত্রা হওয়া স্কুলটিতে প্লে-গ্রুপ থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হত। বর্তমানে স্কুলটিতে ৪০ জন ছাত্রছাত্রী ও চারজন শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মরত আছেন।

সম্প্রতি পিস স্কুল বন্ধে সরকারি নির্দেশনা জারির পর স্কুল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি নাম পরিবর্তন করে। নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বড়লেখা ইন্টারন্যাশনাল প্রি-স্কুল’।

বড়লেখা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সরকার সম্প্রতি পিস স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান স্কুলে উপস্থিত হয়ে বড়লেখা ইন্টারন্যাশনাল পিস্ স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ করতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

স্কুলের অধ্যক্ষ আহমেদ মতুর্জা মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় বলেন, ‘এটি বন্ধ ঘোষিত পিস স্কুলের কোনো শাখা নয়। পিস স্কুলের সাথে আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পর্কও নেই। নামটা ভালো লাগায় এরকম নামকরণ করা হয়েছিল। সরকার পিস স্কুল বন্ধ ঘোষণার পর আমরা এটার নাম পরিবর্তন করেছি। বর্তমান নাম বড়লেখা ইন্টারন্যাশনাল প্রি-স্কুল। স্কুলের নিবন্ধন ছিলনা।’

অধ্যক্ষ আরো জানান, চার-পাঁচদিন আগে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিধি মোতাবেক নাম পরিবর্তনের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবেদন করেছি।

বড়লেখা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অরবিন্দ কর্মকার মঙ্গলবার রাত ৯টায় বলেন, ‘স্কুলটি অনুমোদন বিহীন। স্কুলের নিবন্ধন থাকলে আমরা জানতাম। আমরা নিবন্ধন দিই না। স্কুলটি নাম পরিবর্তনের জন্য আজ মঙ্গলবার আবেদন দিয়েছে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসের কাছে যোগাযোগের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।’

বড়লেখা থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান স্কুল বন্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুলটি বন্ধ করেছি। ওরা বলেছে শুধু নামকরণ ছাড়া পিস স্কুলের সাথে আর কোনো সম্পর্ক নেই। সরকারি নির্দেশনা অনুয়ায়ী প্রতিষ্ঠানটি যাতে বন্ধ থাকে সেজন্য বুধবার (১০ আগস্ট) থেকে স্কুলের সামনে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি বন্ধসহ আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’









(এলএস/এস/আগস্ট ১০,২০১৬)