স্টাফ রিপোর্টার : পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের নির্মাণকাজে যেকোনো ব্যাংক গ্যারান্টি বা মুচলেকাপত্র ইস্যুর ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে একক ঋণসীমার নির্দেশনা অনুসরণ করা লাগবে না। একজন গ্রাহককে কতটুকু ঋণ বা গ্যারান্টি দেওয়া যায় তা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে শর্ত রয়েছে পদ্মা সেতুর জন্য তা প্রযোজ্য হবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, জাতীয় অর্থনীতিতে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব এবং এক্ষেত্রে সরকারের অগ্রাধিকার বিবেচনায় এ সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ব্যাংক গ্যারান্টি ইস্যুর ক্ষেত্রে একক ঋণগ্রহীতার সর্বোচ্চ সীমা প্রযোজ্য হবে না। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী কোনো ব্যাংক তার মূলধনের ৩৫ শতাংশের বেশি ঋণ বা গ্যারান্টি একক ঋণগ্রহীতার অনুকূলে দিতে পারে না। এর মধ্যে ফান্ডেড অংশ ১৫ শতাংশের বেশি হবে না। গ্যারান্টি মূলত ব্যাংকের নন-ফান্ডে দায়। যার অনুকূলে এটি ইস্যু করা হয় তিনি পরিশোধে ব্যর্থ হলে ব্যাংককে তার দায় নিতে হয়।

প্রসঙ্গত, দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে টানাপড়েনের এক পর্যায়ে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। সম্প্রতি মূল সেতু নির্মাণে জন্য চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে কাজ দেওয়ার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। নতুন বাজেটে পদ্মা সেতুর জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৮ হাজার ১০০ কোটি টাকা। প্রকল্পের অপর তিন অংশ জাজিরা সংযোগ সড়ক, মাওয়া সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এলাকা-২ এর নির্মাণকাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এ তিন অংশের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগের প্রতিষ্ঠান এএমএল-এইচসিএম।

এ তিন অংশের পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বুয়েট। এছাড়া প্রকল্প এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনী। নদী শাসন কাজের ঠিকাদার নিয়োগের কাজ চলছে। ২০১৮ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণ শেষ হবে বলে সরকার ঘোষণা দিয়েছে।

(ওএস/এটিআর/জুন ০১, ২০১৪)