চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। মঙ্গলবার সকালে প্রতিপক্ষের হামলায় তিন ছাত্রলীগ নেতা আহতের ঘটনায় দুপুর একটার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

সংঘর্ষ চলাকালে উভয় গ্রুপকে লাঠিসোঁটাসহ ধারালো অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশন চত্বরে তিন ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করে আহত ছাত্রলীগ নেতার অনুসারীরা।

আহতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মামুনর রহমান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক একরামুল করিম মহসিন, সহ-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রকি।

এদের মধ্যে মামুন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত বগিভিত্তিক সংগঠন ‘একাকার’ এবং মহসিন ও রকি ‘কনকর্ড’ গ্রুপের শীর্ষ নেতা। তারা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।

হামলাকারীরা বগিভিত্তিক সংগঠন ‘ভিএক্স’ ‘ফাটাফাটি‘ ও ‘খাইট্টা খা’ গ্রুপের নেতা।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, গত সোমবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনায় কনকর্ড বগির কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে ফাটাফাটি বগির নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিকেলে দুই বগির সিনিয়র নেতারা বসে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা আসেন।

মঙ্গলবার সকালে মহসিন ও রনি শহর থেকে ট্রেনে করে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে পৌঁছলে ট্রেন থেকে নামার পরই লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় প্রতিপক্ষের ‘ভিএক্স’ ‘ফাটাফাটি’ ও ‘খাইট্টা খা’ গ্রুপের কয়েকজন নেতাকর্মী।

এ ঘটনায় আহতদের পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে আ জ ম নাছির অনুসারীরা।

ক্যাম্পাসের গোলচত্বরে তারা অবস্থান নিলে প্রতিপক্ষও জড়ো হয়ে শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মো. সিরাজ-উদ-দৌল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, গ্রুপ দুটির ভুল বোঝাবুঝির কারণে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

(ওএস/এটিআর/এটিআর/১০, ২০১৪)