স্টাফ রিপোর্টার : বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান মাস্টারকার্ড  পরিচালিত ভোক্তা জরিপে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে বাংলাদেশের আর্থিক পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জক।

২০১৬ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে মাস্টারকার্ড ভোক্তা আস্থা সূচক (এমআইসিসি) জরিপে বাংলাদেশের অবস্থান আগের ছয় মাসের তুলনায় ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে।

বাংলাদেশসহ এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৭টি দেশের ওপর চালানো জরিপের ফল নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি তুলে ধরেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।

তিনি বলেন, ভোক্তাদের মতামতে কোনো দেশের অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা ফুটে না উঠলেও এটি বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করে। তারা সাধারণ মানুষের এ ধরনের চিন্তাকে বিবেচনায় রাখেন।

আগের বছরের শেষার্ধের তুলনায় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৯টি দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল বলে ভোক্তা জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়।

আর ৭টি দেশে ২০১৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধের তুলনায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে ভোক্তাদের আস্থা কমেছে।

জুন ও জুলাই মাসে চালানো এ জরিপে ১৭টি দেশের ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মোট ৮ হাজার ৭৪৬ জন লোকের মতামত নেওয়া হয়েছে।

এসব মানুষের কাছে নিজ নিজ দেশের অর্থনীতি, কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা, দৈনিক আয়ের সম্ভাবনা, শেয়ারবাজার ও জীবনযাত্রার মান নিয়ে জানতে চাওয়া হয়।

মাস্টারকার্ড ২০ বছর ধরে ইনডেক্স অব কনজ্যুমার কনফিডেন্স (এমআইসিসি) জরিপের ফল প্রকাশ করছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

শূন্য থেকে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে এ সূচকে পরিস্থিতি নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ০ একেবারে নিরাশার বা চরম হতাশাপূর্ণ, ৫০ হলো নিরপেক্ষ ও ১০০ সর্বোচ্চ আশাবাদের।

বাংলাদেশের অর্থনীতি ৭১ দশমিক ৬ পয়েন্ট পেয়ে ভোক্তাদের চোখে আশাব্যঞ্জক পরিস্থিতিতেই রয়েছে।

আর গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধের তুলনায় বাংলাদেশের এ ভোক্তা আস্থা সূচক ৪ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে।

আশাব্যঞ্জক পরিস্থিতিতে থাকা উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ভোক্তা আস্থা সূচকে ভারত ৯৭ দশমিক ৬ পয়েন্ট, ফিলিপাইন ৯৫ দশমিক ২ পয়েন্ট, ভিয়েতনাম ৯৪ দশমিক ৯ পয়েন্ট, মিয়ানমার ৯৯ দশমিক ৮ পয়েন্ট ও চীন ৭৬ দশমিক শূন্য পয়েন্ট পেয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ায়ও এ পরিস্থিতি থাকলেও আস্থা সূচকে পয়েন্ট গত বছরের ছয় মাসের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ৬১ দশমিক ৮ পয়েন্টে নেমেছে। এর পরই রয়েছে হংকং ও সিঙ্গাপুর। এসব দেশে কর্মসংস্থানের দুর্বল সম্ভাবনাই ভোক্তাদের আস্থা কমিয়ে দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।

(ওএস/এএস/আগস্ট ১৪, ২০১৬)