কী করে নীরবে হজম করি

অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মত জ্বলে ওঠার
যে সাহস প্রবাহিত করেছো বাঙালির রক্ত ধারায়,
সে রক্ত আজ যেন কারা হরণ করে নিতে চায়-
তোমার রক্তের সে ধারা প্রবাহিত সতত
বাঙালির অস্তিত্বে শিকড়ে বাকলে
বাঙালির বীর্যের গোপন ধারায়।

পিতা,
তোমার রক্তের সে ধারা প্রবাহিত সতত-
আমাদের রক্ত ধারায়;
আমাদের কণ্ঠে তুলে দিয়েছো মুক্তির যে অমলিন শেকল ছেঁড়ার গান,
সমুদ্রস্রোতের মত সব কিছু ভেঙে ফেলার
যে সাহস দিয়েছো তুমি
তাতে আমরা ভেঙেছি সব বাঁধ
ঘুচিয়ে দিয়েছি দুর্বৃত্তের অন্যায় অপরাধ,
মিটিয়ে দিয়েছি তাদের দু:সাহসের সাধ।

তোমার ঔরসে জন্ম যে মীরজাফরের
তুমি কখনো দেখনি তাদের অন্যায় অপরাধ,
তাদের ক্ষমা করা ছিল তোমার সবচেয়ে বড় অন্যায়
ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।
তোমার মমতা তোমার উদারতা-
তারা ভেবেছিল সে ছিল তোমার দুর্বলতা,
তারা ভেবেছিল সে তোমার অক্ষমতা।

তাই ঝাঁপিয়ে পড়ে খুবলে খেয়েছে
তোমার বুকের মমতাঘেরা
তাল তাল কোমল মাংস,
তাল তাল উত্তপ্ত টগবগে জমাট রক্ত;
তাদের ছিল রক্তের পিপাসা।
কেমন করে ধরে রাখি এ প্রাণ- পিতা বলো তুমি
প্রতিবাদের যে দীক্ষা দিয়েছো তুমি-
আজ কী করে মুখ বুজে সব নীরবে হজম করি!!!