মাসুদ রানা


হে বঙ্গপিতা,
ক্ষমা করো মোদের অপরাধীতা।
তুমি দিয়েছো আনি এ স্বাধীন বঙ্গভূমি।
হয়েছো নিজ গুণে অসামান্য দামী।
তুমি জালিয়েছো মুক্তির শিখা অনির্বান।
অবোধ মোরা, তোমারে যে করেছি অপমান।
আপনারে নিয়ে ভাবনি তুমি।
ভেবেছো শুধু স্বাধিকার বঙ্গভূমি।
তুমিই শিখিয়েছো প্রতিবাদের ভাষা।
দেখিয়েছো বাঁচার স্বপ্নিল আশা।
তোমার দুঃসাহসী হাতে দিয়েছো খুলে মুক্তি-দোর।
তিমির রাত্রি হতে এনেছো ছিনে নতুন ভোর।

হে বঙ্গপিতা।
ক্ষমা করো মোদের নির্লজ্জতা।
যে জাতির লাগি তুমি দিয়েছো প্রাণ সপে।
সে জাতি তোমার স¦প্নকে মেরেছে গলা টিপে।
তোমার স্বপ্ন ছিল এ ভূখন্ডে কেউ থাকবেনা আর ভুখা।
বস্ত্রহীন একটি মানুষও যাবেনা তো আর দেখা।
তুমি তো চাওনি হতে শাসক এ বঙ্গভূমির।
শুধু চেয়েছো এ জাতীর সংকট হতে মুক্তির।
তোমার স্বপ্নকে চূর্ণ করে ঐ হায়েনার দল
সাজানো বাগানে দিল ছড়িয়ে বিষের অনল।

হে মহা বীর
জালিমের কাছে তুমি করনি নত শির।
শত্রু শিবির থরথর কেঁপেছে তোমার হুঙ্কারে।
বালির বাধের ন্যায় হয়েছে বিনাশ তোমার অভয় তূরে।
এক ঘুমন্ত জাতিকে তুমি জাগিয়েছো শুধু একটি কবিতায়।
জালিমের ঝাঁঝালো বুলেট সেদিন রুখতে পারেনি তোমায়।

হে স্বাধীন বাংলার রূপকার।
তোমার জীবনের বদলে দিয়েছো মোদের এ বাংলা উপহার।
তোমার কাছে যে ঋণ মোদের, সে ঋণ শোধের নয়।
চির ঋণী করেছো মোদের, তোমার জীবনের বিনিময়।

হে বঙ্গপিতা।
তুমি এ বাঙ্গালী জাতির পরিত্রাতা।
তুমি নও কোন দলের বা কোন জাতীর একার।
সার্বজনীন তুমি মোদের অহংকার।