মাহবুবুল হক শাকিল


 


 


 

চৌদ্দের মাঝরাত পেরিয়ে গেলেই কথা বলে ওঠে শ্রাবণের অশ্রুপাত,
পাখ-পাখালি, দক্ষিনের লম্বা সমুদ্দুর, মধুমতীর বুক চিরে সজলকন্ঠ-
'ছিলাম, আমিও ছিলাম, তোমাদের জাগরণে, এমনকি সেই শেষরাতে
নিতান্ত ঘুমে ছিলে তোমরা সবাই, ভুলেছিলে সবুজ জমিনে আমি রক্তবৃত্ত'।

জলদ সে কন্ঠ আমাকে ডেকে তুলে নেয় আজরাতে, কাঁদতেই থাকি সেই থেকে
মরণ অবধি। বলি, 'আমিতো কালঘুমে, লুট হয়ে যায় পুরনো সিন্দুক, অলংকার,
শৌর্য-বীর্য, মুজিবধারা রক্তের ভেতর থেকে শুষে নেয় উর্দিপরা ঘাতক সিরিঞ্জ'।

চোখ মেলে ইতি-উতি চাই, ত্রস্ত তাকাই, কি যেন নেই, আমি আজ খর্বকায়,
হয়ে গেছি পুরনো বামুন, নির্লজ্জ জীব, চলে গেছে বীর পিতা, দীর্ঘকায় মুজিব।

সে রাতে কেন এতোটা আঁধার? অন্তরঙ্গ নিদ্রা? পরাভবের বালিশে কাটে নির্লজ্জ প্রহর।
তেরোশত নদী তন্নতন্ন খুঁজি, কোন জলে লুকোবো আজ ফজর সময়, কাপুরুষ কন্ঠস্বর?

ছিলাম বীর বটে, একাত্তর জানে সেই সিংহ সাহস, চাঁদপানা মুখে গৌরবের রক্তইতিহাস,
কেন তবে গর্তে বসে রংপাল্টানো গিরগিটি দেখেছিলাম পনেরোর ঘাতকের অশ্লীল উল্লাস?