স্টাফ রিপোর্টার : পিলখানায় বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) হত্যাকাণ্ড মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন পিন্টুর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার নাসির উদ্দিন পিন্টুর পক্ষে আপিল করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সগির হোসেন। তিনি বলেন, বিচারপতি সৈয়দ এবি মাহমুদুল হকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন।

গত বছরের ৫ নভেম্বর বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) হত্যা মামলার রায়ে ১৫২ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড ও ৪২৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের মধ্যে বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন পিন্টু ও আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীকে যাবজ্জীবন, ১৫৮ জনকে যাবজ্জীবনসহ ৪০ বছর কারাদণ্ড ও ২৬৩ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন আদালত।

মোট ৮৫০ জন আসামির মধ্যে খালাস পেয়েছেন ২৭১ জন। আর ৪ জন বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন বিডিআরের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) তৌহিদুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন খান, মির্জা হাবিব আব্দুর রহিম, আব্দুল জলিল, মেজর গোফরান মল্লিক, ল্যান্সনায়েক শাহ আলম, হাবিলদার আবু তাহের, সিপাহী সেলিম রেজা, শাহ আলম, আলতাফ হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, কাজল, আব্দুল মবিন, বেসামরিক সদস্য জাকির হোসেন, আজিম পাটওয়ারী, রেজাউল করিম, রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান।

অন্যদিকে রায়ে ১৫৮ জন আসামিকে ৩০২ ধারায় হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) কারাদণ্ডের সঙ্গে প্রত্যেককে ৩৮২ ধারায় অস্ত্র লুণ্ঠনের দায়ে আরও ১০ বছর করে দণ্ড দেওয়ায় তারা সাজা খাটবেন মোট ৪০ বছর করে। এ ১৬০ জনকেই তাদেরকে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা ও জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ বছরের সাজা প্রদান করা হয়েছে।

২৬৩ জন আসামিকে সর্বনিম্ন ৩ বছর থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

(ওএস/এটিআর/জুন ১০, ২০১৪)