জামালপুর প্রতিনিধি : ভারতের আসাম থেকে বন্যার পানিতে ভেসে আসা দলছুট হাতি ‘বঙ্গ বাহাদুর’ অবশেষে মারা গেছে। মঙ্গলবার ভোরে হাতিটি মারা গেছে বলে জানা গেছে।

এর আগে, রবিবার থেকে হাতিটি খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করায় প্রচণ্ড গরম আর পায়ের মোটা শিকল-রশির শক্ত বাঁধনের কারণে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে অসুস্থ হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ে হাতিটি। চিকিৎসক আর বন বিভাগের কর্মীরা হাতিটিকে সুস্থ করে আবারো দাঁড় করানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন ভারতের আসাম থেকে বন্যার পানিতে ভেসে আসে দলছুট বন্যহাতি ‘বঙ্গ বাহাদুর’। এরপর ৪৫ দিনে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও জামালপুরের বিভিন্ন চরাঞ্চলে বন্যার পানিতে ঘুরে বেড়ায় হাতিটি।

এরই মধ্যে ভারত এবং বাংলাদেশসহ প্রায় ১ হাজার ৭০০ মাইল পথ পাড়ি দেয় হাতিটি। এ সময় খাদ্য সংকটের কারণে প্রায় ৫ টন ওজনের হাতিটি দিন দিন শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। এর মধ্যে এটি উদ্ধারে গত ৪ আগস্ট ভারত থেকে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আসে, কিন্তু তারা হাতিটি উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। এরপর হাতিটি উদ্ধারে নামে বাংলাদেশের উদ্ধার অভিযান দলের সদস্যরা। তারা পর পর তিনবার হাতিটি ট্রাঙ্কুলাইজ করতে ব্যর্থ হয়।

গত বৃহস্পতিবার উদ্ধার অভিযান দলের প্রধান ড. তপন কুমার দের নেতৃত্বে সরিষাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের কয়রা গ্রামে হাতিটি ট্রাঙ্কুলাইজ করতে সক্ষম হন তারা। সে সময় হাতিটির নাম দেয়া হয় ‘বঙ্গ বাহাদুর’। এরপর থেকেই হাতিটি ওই গ্রামের রহিম মাস্টারের বাড়ির পেছনের একটি বড় আম গাছের সঙ্গে রশি এবং লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।

(ওএস/এএস/আগস্ট ১৬, ২০১৬)