লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পার মল্লিকপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে দু’ গ্রুপের সংঘর্ষে এক গ্রাম্য মাতুম্বরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। সংঘর্ষের সময় মহিলাসহ ১২ জন আহত হয়েছেন।

এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ১২ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি বর্ষণ করে। আহতদের লোহাগড়া, নড়াইল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত নুর ইসলাম পার মল্লিকপুর গ্রামের মৃত মোকসেদ মৃর্ধাার ছেলে। তিনি পেশায় কলা ব্যবসায়ী।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পারমল্লিকপুর গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক মেম্বর দুলোল ঠাকুর সমথির্ত লোকজনদের সাথে একই গ্রামের নুর ইসলাম মৃর্ধা সমর্থিত লোকজনদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত সোমবার (১৫ আগষ্ট) দুপুরে দুলোল ঠাকুর সমথির্ত লোকজন নুর ইসলাম মৃর্ধা সমর্থিত জলিল শেখ (৫০) কে মারপিট করে আহত করে। এ ঘটনা মিমাংশার জন্য আজ মঙ্গলবার সকালে পার্শ্ববর্তী দিঘলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান পলাশের মধ্যস্থতায় ওই গ্রামে এক শান্তি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত বৈঠকটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ার পর পরই দুলোল ঠাকুরের নেতৃত্বে ৫০/ ৬০ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র ঢাল, সড়কি, রামদা, ছ্যানদা নিয়ে প্রতিপক্ষের মাতুম্বর নূর ইসলাম মৃর্ধার বাড়িতে অর্তকিতভাবে হামলা চালিয়ে নূর ইসলামকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে বাড়িঘর ভাংচুর করে।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবেশি ইকবাল মৃর্ধা, ইকরাম মৃর্ধা, শাহীন মোল্যা, জামেলা বেগম, পান্নু গাজী, সানোয়ার গাজী, লিয়াকত হোসেন, জলিল মোল্যা ও সুজন ঘটনাস্থলে আসলে তাদেরকেও প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে আহত করে। আহতদেরকে লোহাগড়া, নড়াইল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুত্বর আহত গ্রাম্য মাতুম্বর নূর ইসলাম মৃর্ধা (৪২) কে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ১২ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি বর্ষণ করে।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব সাহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এ ঘটনায় জড়িত থাকায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমান ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

(আরএম/এএস/আগস্ট ১৬, ২০১৬)