পটুয়াখালী প্রতিনিধি : গভীর সমুদ্রে নিন্মচাপ ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় দক্ষিণঅঞ্চলের পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও গলাচিপা পৌরসভা জোয়ারের পানিতে ভাসছে আর ভাটায় শুকাচ্ছে। গলাচিপা লঞ্চ ঘাট, খেয়া ঘাট ও ফেরী ঘাটের যাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা নেই। তবে এ বিষয়ে কয়েকজন যাত্রী জানিয়েছেন আমাদের প্রতিদিন ২-৩বার পারাপার হতে হয়।

প্রত্যেকবারই আমাদের কাপড়-চোপড় পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। এই সমস্যা শেষ হতে আর যে কতদিন লাগবে, বুঝে উঠতে পারছি না। এ বিষয়ে গলাচিপা ফেরী ঘাট ও খেয়া ঘাটের ইজারাদার মালিকপক্ষ বাবু শিবু লাল দাস জানিয়েছেন, হঠাৎ করে জোয়ারের পানি উঠে ফেরী চলাচলে সাময়িক সমস্যা হয়, কিন্তু এটা স্থায়ী নয়। তিনি খেয়া ঘাটের বিষয়ে বলেন এ খেয়া ঘাটের রাস্তাটি বেশ কয়েক বছর অকেজো অবস্থায় ছিল।

আমি ঘাটের ইজারা পাওয়ার পরে রাস্তাটি আমার প্রচেষ্টায় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কাজ মেরামতের কাজ আদায় করে নিয়েছি। যাহাতে যাত্রীদের কোন দূর্ভোগ না হয়। তিনি আরও বলেন, উপজেলার সকল ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে খেয়া পারাপারের ও টোলের কোন টাকা নেওয়া হবে না। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের যদি পরিচয়পত্র থাকত তহলে আমাদের আরও সুবিধা হত। পরিচয়পত্র না থাকায় অনেকসময় একটু সমস্যায় পরতে হয়।

ফেরীর ব্যাপারে তিনি বলেন, ফেরীতে লাশ পরিবহনে কোন টাকা দিতে হবে না এবং জরুরী রুগীদের জন্য যথাসময়ে ফেরী পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে লঞ্চ ইজারাদার মালিক পক্ষের ফারুক হাওলাদার প্রতিবেদককে জানান লঞ্চ ঘাট থেকে শহরে উঠার রাস্তাটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যা যাত্রীদের ব্যবহার অনুপযোগী। এ রাস্তার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার লিখিত আবেদন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে খুব শিঘ্রাই রাস্তা করে দেয়া হবে।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র হাজী আব্দুল ওহাব খলিফা প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ফেরীঘাট,লঞ্চঘাট ও খেয়াঘাটের প্লাবিত জোয়ারের পানিতে ভরে যাওয়ায় ২-৪ ঘন্টা যাত্রীদের সমস্যা হয়েছে। তবে দেখব, এ সমস্যাগুলো যাতে না থাকে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ্ আল বাকী প্রতিবেদককে জানিয়েছেন বিষয়টি আমি শুনেছি, যাতে সমস্যাগুলো খুব শীঘ্রই সমাধান করা যায় সে বিষয়ে আমার যথাসাধ্য চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

(আরকেএম/এএস/আগস্ট ১৮, ২০১৬)