নিউজ ডেস্ক : বিশ্ব সমাদৃত গুগলের অ্যান্ড্রয়েডকে নিয়ে পূর্বের অবস্থানে ফিরতে চাচ্ছে এক সময়ের বাজার মাতানো হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ড নকিয়া। এর প্রতিফলন ঘটতেও হয়ত দেরী নেই। বছরের শেষ দিকে অ্যান্ড্রয়েড চালিত কয়েকটি ডিভাইস আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের পরিকল্পনা করছে ফিনল্যান্ডের প্রযুক্তিপণ্য প্রতিষ্ঠান।

বিভিন্ন তথ্য ফাঁসকারী সুত্র থেকে খবরটি প্রকাশিত বলে উড়িয়ে দিলে চলবেনা। নকিয়ার চীনা প্রেসিডেন্ট সহ সাবেক কর্মী যিনি সম্প্রতি ফিনিশ ফার্ম এইচএমডি গ্লোবালে মার্কেটিং বিভাগে যোগ দিয়েছেন দুজনই একই ধরনের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চীনের একটি ওয়েবসাইটে নকিয়ার চীনা প্রেসিডেন্ট মাইক ওয়াঙ এর বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, এ বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে ৩টি থেকে ৪টি নকিয়া ব্র্যান্ড নামে ডিভাইস আনুষ্ঠানিক প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে। এই ডিভাইসের তালিকায় থাকবে স্মার্টফোন ট্যাব দুটিই।

এছাড়া নিশ্চিত করা হয়, এসব ডিভাইস সেই কারখানায় তৈরি হবেনা যেখানে নকিয়ার প্রথম স্মার্টফোনগুলো তৈরি হয়েছিল।
নতুন ডিভাইস তৈরি করবে ফিনিশ ফার্ম এইচএমডি গ্লোবাল। এ বছরের শুরুর দিকে আগামী ১০ বছর নকিয়া ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন আর ট্যাবলেট তৈরির জন্য বিশেষভাবে সম্মতি দেয় তারা।

মাইক্রোসফট এবং নকিয়ার মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল সেটিও বিষয়টি আরো স্পষ্ট করছে। কেননা ২০১৬ সালের শেষ প্রান্তিক শেষ হওয়ার কথা নকিয়া ব্র্যান্ড নামে ডিভাইস প্রকাশ না করার সময়সীমা।

জুলাইয়ে এ ব্যাপারে গুজব রটে, নকিয়ার স্বদেশী সেই প্রতিষ্ঠানটি শীঘ্রই দুইটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন বাজারে আনতে চেষ্টা করছে। ফোন দুটির সাইজ ৫.২ ইঞ্চি এবং ৫.৫ ইঞ্চি যা আইপি৬৮ স্বীকৃত।২কে রেজ্যুলেশন ডিসপ্লেযুক্ত ফোনগুলোর পানি, ধুলো প্রতিরোধ ক্ষমতা হবে অনেক বেশী। অনেকটা স্যামসাং এর গ্যালাক্সি এস৭, গ্যালাক্সি এস৭ এজের মতো।

প্রসঙ্গত, হাতেগোণা বিশ্বের কয়েকটি হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ডের তালিকায় ছিল নকিয়া। কিন্তু স্মার্টফোন শিল্পের আবহের পরিবর্তনে পূর্বের ধারাবাহিক গতিশীলতা ধরে রাখতে না পারায় প্রতিষ্ঠানটি নিজের স্থানটি হারিয়ে ফেলে।

এক পর্যায়ে ফোনের ব্যবসাটি মাইক্রোসফটের কাছে বিক্রি করে দেয়। সেইসাথে শেয়ার উত্থান পতনের চিত্রটি দেখতে দেখতে সময় কাটছে নকিয়ার।

অ্যান্ড্রয়েডের সাথে মিলে নকিয়া ব্র্যান্ডের যাত্রা কিভাবে শুরু হয় তা দেখতে অপেক্ষায় এখন উৎসুকরা। তবে সেলফোনের হার্ডওয়্যারের ব্যাপারে গুরুত্ব দিলে হয়ত হারানো সেই আকর্ষন ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

(ওএস/এএস/আগস্ট ১৯, ২০১৬)