রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে রায়পুরে অর্থকরী ফসল ভেজানো সুপারি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। গত বছর ব্যবসায়ীরা ভালো দাম পেলেও এবার তার উল্টো। এ সুপারি এখন তাদের গলার ফাঁস। রায়পুর উপজেলায় চার হাজার দু’শ’ হেক্টর জমিতে সুপারির বাগান রয়েছে। এবছর এসব বাগানে প্রায় ১৩ হাজার টন সুপারি উৎপাদন হয়। সুপারি এলাকার মানুষের সচ্ছলতা এনেছে। ভেজানো ও শুকনো সুপারিকে ঘিরে উপজেলায় বছরে প্রায় দু’শ’ কোটি টাকার লেনদেন হয়।

চলতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার কারণে চাহিদা না থাকায় বাকিতেও বিক্রি করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে উপজেলার হাট-বাজার থেকে প্রতি কাহন (১২৮০ পিস) সুপারি ১২শ’-১৬শ’ টাকা দরে কিনে নদী, খাল, পুকুর ও পানিভর্তি পাতা হাউজে ভিজিয়ে এবং অর্ধেক সুপারি শুকিয়ে সংরক্ষণ করেন।

বর্তমানে তাদের পানি থেকে সুপারি তুলে আটশ’-নয়শ’ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। গতবছর ভেজানো সুপারির দাম ভালো থাকায় কৃষক ব্যবসায়ীরা এপ্রিল-মে মাসে সব সুপারি বিক্রি করে দেন। তখন বিক্রির নগদ টাকায় বদলে দিয়েছে মানুষের জীবনযাত্রার মান। কিন্তু এ বছর দাম কম থাকায় আগষ্ট মাস পার হতে চললেও কৃষক ও ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে ভেজানো প্রায় অর্ধেক সুপারি বিক্রি করতে পারছে না।

পৌর শহরের কাঞ্চনপুর গ্রামের মৌসুমী সুপারি ব্যবসায়ী মানিক, শামছু ও রিপন জানান, তারা প্রায় ২০ লাখ টাকার সুপারি কিনে পানিতে ভিজিয়ে রাখেন। এখন অর্ধেক দামেও বিক্রি করার লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গতবছর দাম ভালো থাকায় বিভিন্ন জেলার ক্রেতাদের রায়পুরে আনাগোনা ছিল। কিন্তু এ বছর নেই। বিভিন্ন জেলায় বন্যার কারণেই আমাদের কপাল পুড়তে শুরু হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহিরউদ্দিন জানান, এবার ভেজানো সুপারির দাম কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। বাজার নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কৃষি অফিসের কোনো হাত নেই।

(পিকেআর/এএস/আগস্ট ১৯, ২০১৬)