অপরাজিতা

ঠা ঠা রোদ্দুরে বসে থাকা মেয়ে
জানেনা রোদের তেজ কাকে বলে
শরতের দুধেল রঙা এক টুকরো মেঘ এসে ছায়া দিতে ব্যর্থ হয়,
পাথর ভাঙতে আসা শ্রমিক মেয়েকে
এই মেয়ে কপাল কুঁচকে মেঘের দিকে তাকায়, সেতো জানেই,
ছায়া তার জন্যে নয়!

সহস্র অনুক্ষণে
ঢেউ আসে, ঢেউ ফিরে যায়
উড়ো জীবনের অলীক তৃষ্ণা হয়ে
কাঠগড়া ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখে শুন্য সিঁথিপথ
শরীরের রোদঘাম ঝাড়া দিয়ে উঠে 'মহীনের ঘোড়াগুলি',
আকাশের শুভ্র মেঘের গম্বুজের গায়ে হেলান দিয়ে ভাবতে বসে সেই মেয়ে
গাঙুরের অথৈ জলে জমেছে কি নীল বৃষ্টি
চেতনার পান্নারঙ্ জানালা খুলে দেয় সে
তাড়াহুড়ো করে অকম্পিত অক্সিজেন
প্রবেশ করে অন্দরের জামরঙা বাসরে
খোলা বাতাসে স্বর্ণালী ধানের মতো হাসে সেই রোদেলা অপরাজিতা
পাশে রেখে মুক্তোদানার পরাজয়


শ্রবণা


(এক)

কয়েকশো মাইলের নীরবতা নিয়ে
ঘন কুয়াশা এড়ানোর জন্যে অবুঝ জানালার কাচ বন্ধ করো তুমি বোবা এক ঘরে।
ক্লোরোফিলের ভালোবাসার মানে আজকাল বাগানের সিম্ফোনীরাও বুঝি বুঝতে পারেনা। মুখোমুখি বসে আছি
অনন্ত কাল ধরে।
শুধু কথারা চাপা পড়ে গেছে
কফি বীনের তীব্র গন্ধে।

(দুই)

আঙুলে আঙুল ছুঁয়ে ভালোবাসা
ব্রহ্মাণ্ডের মহাকাল স্টেশনে।
উড়ছে ভালোবাসা ধূলিকণা হয়ে।
দুটি শ্বাসযন্ত্রে ছুঁয়ে যায়,
ফেলে আসা শ্রাবন্তী ক্ষেতের ধানের ঘ্রাণ।
এখানে নেই সকাল, দুপুর
বা রাত্রির বিভাজন।
শুধু গণ্ডুষে ঢেলে দিই তারায়
জোনাকীর স্মিতা আলো।
অদেখা গর্ভবতী নদীতে ভালোবাসাবাসির
সঞ্চারী লাভা বইছে অন্তঃসলিলা হয়ে।
পৃথিবী অনেক দূরের পরিমল গ্রহ
হয়ে গেছে আজ।
দুর্নিবার সায়াহ্ন থেকে
খানিকটা মধুলোভী প্রেম বয়ে নিয়ে এসেছে
মহাকাশ যান ওজন স্তর পেরিয়ে।






(এমএম/এস/আগস্ট ২০, ২০১৬)