স্টাফ রিপোর্টার : সিটিসেলের পরিণতি থেকে শিক্ষা নেবে অন্য সব অপারেটর বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। রবিবার বিকেলে তিনি এ কথা বলেন।

তারানা হালিম বলেন, বিটিআরসির আল্টিমেটাম অনুযায়ী অপারেটরটির কার্যক্রম মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে বন্ধ হচ্ছে। অনেক সুযোগ পেলেও সিটিসেল চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত গত বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত হয়। আইন পর্যালোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, এরই মধ্যে সিটিসেলের স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুতি শেষ করেছে বিটিআরসি। অলৌকিক কিছু না ঘটলে আগামী মঙ্গলবার মধ্যরাতেই বন্ধ হবে সিটিসেলের নিষ্প্রাণ নেটওয়ার্ক।

এদিকে লাইসেন্স বাতিল প্রশ্নে কারণ দর্শানোর জন্য সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে এক মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া টুজি লাইসেন্স ও বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ নবায়ন ফিসহ সিটিসেলের কাছে বিটিআরসির প্রায় ৪৭৭ কোটি টাকা রাজস্ব বকেয়া রয়েছে। এ অবস্থায় যে কোনো সময় বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ বাতিলসহ কার্যক্রম বন্ধ করতে পারে বিটিআরসি।

সিটিসেলের গ্রাহকদের বিকল্প খুঁজে নিতে সর্বশেষ গত ১৭ আগস্ট নোটিশ জারি করে সাতদিন সময়সীমা বেঁধে দেয় বিটিআরসি। ওই সাতদিন শেষ হবে ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার রাত ১২টায়।

প্রস্তাব পেলে কোন প্রকার ছাড় দিয়ে সিটিসেলকে বাঁচিয়ে রাখবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, বকেয়া পরিশোধ ছাড়া বাঁচার কোনো বিকল্প ছিলো প্রতিষ্ঠানটির হাতে। এখন আর সেই সময়ও নেই। অনিশ্চয়তার শেষ নিশ্চিত পরিণতির দুয়ারে সিটিসেল।

ব্যাংকের টাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব নিয়মে পাওনা আদায় করবে।

(ওএস/এএস/আগস্ট ২১, ২০১৬)