চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা সদরে প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড ও মাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

একই রায়ে আদালত ছেলেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। মাকেও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

সোমবার চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রবিউজ্জামান এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন শামসুন্নাহার ও তার ছেলে হুমায়ুন কবির। আসামিরা বর্তমানে কারাগারে আছেন।

খুনের শিকার মনির আহমেদ চৌধুরী রূপালী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখার কর্মকর্তা ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি ও অতিরিক্ত জেলা পিপি অ্যাডভোকেট সমীর দাশগুপ্ত বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড ও মাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

অতিরিক্ত জেলা পিপি এম শওকত হোসেন চৌধুরী জানান, বাড়ির সীমানা ও সম্পত্তি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০০৫ সালের ১০ জুন চন্দনাইশ সদরে গ্রামের বাড়িতে মনির আহমেদ চৌধুরী খুন হন।

আসামিদের মধ্যে প্রতিবেশী শামসুন্নাহার মনির আহমেদের বুকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং তার ছেলে হুমায়ুন কবির কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করে।

গুরুতর আহত মনিরকে প্রথমে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার দিনই নিহতের ছেলে তানভির ইবনে মনির বাদি হয়ে চন্দনাইশ থানায় শামসুন্নাহার ও তার দুই ছেলে হুমায়ুন ও শাওনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

২০০৬ সালের ১৯ এপ্রিল শাওনকে অব্যাহতি দিয়ে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০০৮ সালের ২৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় আরও ছিলেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট এম এ নাসের, সফিউল আলম সিদ্দিকী এবং কামরুন নাহার।

(ওএস/এএস/আগস্ট ২২, ২০১৬)