জবি প্রতিনিধি : কেন্দ্রীয় কারাগারের পুরনো ভবনের জমিতে আবাসিক হল নির্মাণের দাবিতে ২২তম দিনের মতো আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

পুলিশি হামলার প্রতিবাদে উপাচার্য ভবনে তালা লাগিয়ে সড়ক অবরোধ করে দ্বিতীয় দিনের মতো ছাত্রধর্মঘট করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার সকাল থেকে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এর আগে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে শিক্ষার্থীদের পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় আহত হন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধর্মঘটের সমর্থনে ক্যাম্পাসে মিছিল করেন তারা। ধর্মঘটের শুরুতে উপাচার্য ভবনে তালা দেন আন্দোলনকারীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের প্রশাসনিক কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা গেছে, নতুন ভবনের ফটকসহ বিভিন্ন ভবনের ফটকে তালা ঝুলছে। শিক্ষার্থীরা জানান, কোনো বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। ক্যাম্পাসে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। ধর্মঘটের কারণে ক্যাম্পাস কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

এদিকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বর্তমানে শিক্ষার্থীরা রায়সাহেব বাজার মোড়ে সড়ক অবরোধ করে সেখানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

কেন্দ্রীয় কারাগারের পুরনো ভবনের জমিতে চার নেতার নামে আবাসিক হল নির্মাণের দাবিতে ২ আগস্ট থেকে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ কেন্দ্রীয় কারাগারের জমির দাবিতে জবি কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্রসচিব বরাবর আবেদন করে। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে কোনো সাড়া মেলেনি।

এ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮তম জরুরি একাডেমিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে ওই জমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ীভাবে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়। ২১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সভায় আবারও সরকারের প্রতি আহবান জানায় জবি কর্তৃপক্ষ।

(ওএস/এএস/আগস্ট ২৩, ২০১৬)