নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর রায়পুরার দূর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়িতে দুই দল গ্রাম বাসীর টেঁটা যুদ্ধ,হামলা-ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় ৮৭ জনকে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরন করেছে আদালত।



আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শামিমা আক্তার তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরন করা হয়।

আদালত সূত্রে জানায়, গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চরাঞ্চল বাঁশগাড়ির আওয়ামীলীগের সমর্থকরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে স্থানীয় বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর সমর্থিত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমানের পক্ষে কাজ করেন।

অপরদিকে বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ সরকার আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ্যাড. সামসুল হকের পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনে মিজানুর রহমান বিজয়ী হওয়ার পর তাঁর সমর্থকরা বাঁশগাড়িতে বিজয় মিছিল বের করে। মিছিল থেকে কটুক্তি দিয়ে স্লোগান দিলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক বাড়ি-ঘর ভাংচুর হয়। আহত হয় কমপক্ষে শতাধিক লোক।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে শালিশের আয়োজন করা হয়। শালিশে উভয় পক্ষকে জরিমানা করাকে কেন্দ্র করে পুনরায় রায়পুরা ইউনিয়নের বাশগাড়ী ও স্বাধীন বাজার এলাকার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে টেঁটা,বল্লম ও দেশীয় আস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে শতাধিক বাড়ি-ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ২০টি বাড়িতে। টেঁটা ও দাঁড়ালো অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়েছে।

এঘটনার পর পর বাশঁগাড়ী এলাকার নূরুমিয়া বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সহ ১৬২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অঞ্জাত নামা আরো ৪/৫ শত লোককে আসামী করে স্কুল রায়পুরা থানায় মামলা দায়ের করে। এ মামলায় মঙ্গলবার র্য়াপুরা এলাকার স্বাধীন বাজার এলাকার ৮৭ জন স্থায়ী জামিন নেওয়ার জন্য রায়পুরা আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শামিমা আক্তারের আদালতে আবেদন করেন। আদালতের বিচারক উভয় পক্ষের কৌশলীদের বক্তব্য শুনে আদালতের বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরন করেন।

(এমডি/এটিআর/জুন ১০, ২০১৪)