নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর পলাশে স্কুল ভেঙ্গে মার্কেট নির্মান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ও ভূমিদস্যুরা প্রভাব খাটিয়ে স্কুলের জায়গায় মার্কেট নির্মানের কাজ শুরু করেন।

গত রোববার ভোরে প্রতিপক্ষরা স্কুলের চেয়ার-টেবিল,বেঞ্চ সহ স্থাপনা সড়িয়ে মার্কেট নির্মান শুরু করে।

এ ঘটনায় জমির মালিক ও স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পলাশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে প্রতিপক্ষরা বলছে, দীর্ঘ দিন যাবৎ স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ। তাছাড়া জমিটিও স্কুল প্রতিষ্ঠাতাদের নয়।

জানাযায়,নরসিংদীর পলাশ উপজেলা গজারিয়া এলাকায় ৩ শতাংশ জমির উপর গজারিয়া হাই স্কুল নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়। স্থানীয় মমতাজ উদ্দিনের ছেলে জাহিদ হোসেন সজল গত ৩ বছর আগে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। গত বছর শেষের দিক স্কুলের জমিটি নিয়ে জাহিদ হোসেন সজলের সাথে স্থানীয় খোকন ও মিলন মিয়াদের সাথে দন্ধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ও পাল্টা মামলা দায়ের করেন।

এরই মধ্যে গত রোববার মিলন ও খোকা মিয়া নামে দুই ব্যাক্তি স্কুলের স্থাপনা সড়িয়ে মার্কেট নির্মানের কাজ শুরু করেন। পরে বিষয়টি পলাশ থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলের এসে কাজ বন্ধের নির্দেশ প্রদান করে।

স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা জাহিদ হোসেন সজল মাষ্টার বলেন,এলাকার শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষে আমাদের পৈত্রিক সম্পতির উপর গজারিয়া হাই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের নিয়ে খোকন ও মিলন মিয়া নামে দুই ব্যাক্তি হঠাৎ স্কুলের চেয়ার,টেবিল বেঞ্চ সহ স্থাপনা ভেঙ্গে সড়িয়ে ফেলেন। একই সাথে মার্কেট নির্মান শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে আদালত থেকে নিষেদাজ্ঞা থাকলেও তা মানেনি অবৈধ দখলদাররা।

এ ব্যাপারে দখলদার খোকা মিয়া বলেন,এটি আমার ক্রয়কৃত সম্পতি। যে স্কুলের কথা বলা হচ্ছে সেটির কোন রেজিষ্টেশন নেই। তাছাড়া দীর্ঘদিন যাবৎ স্কুলের কার্যক্রমও বন্ধ। আমার জায়গাটি তার ছাড়ছিলনা তাই বাধ্য হয়ে স্থাপনা সড়িয়ে নির্মান কাজ শুরু করেছি। তিনি আরো বলেন, মূলত জমিটি দখল করে রাখার জন্যই স্কুলটি স্থাপন করা হয়েছিল।

নরসিংদী পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমঙ্গীর হোসাইন বলেন,অভিযোগের প্রক্ষিতে ঘটনাস্তলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।


(এমডি/এটিআর/জুন ১০, ২০১৪)