ফরিদপুর প্রতিনিধি : এলজিআরডি মন্ত্রী খোন্দকার মোশাররফ হোসেনের সাবেক এপিএস ও ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সত্যজিৎ মুখার্জিকে আটকের ৩৬ ঘণ্টা পর ফরিদপুরের আদালতে হাজির করা হয়।

আদালত সত্যজিতকে ফরিদপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত ২২ আগস্ট সোমবার রাত সাড়ে ১১ টায় ফরিদপুরের ডিবি পুলিশ ঢাকার নাখালপাড়া থেকে সত্যজিৎ মুখার্জিকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়। কোতোয়ালি থানা পুলিশ বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত ১৯ মামলায় সত্যজিতকে গ্রেফতার দেখায়।

কিন্তু মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানা পুলিশ সত্যজিতকে আদালতে সোপর্দ না করায় ও সত্যজিতকে নিয়ে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখায় স্বজনদের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে গুজবেরও নানা ডালপালা ছড়ায়। নানা আতঙ্ক ও গুজবের মধ্যেই ২৪ আগস্ট বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সত্যজিতকে ফরিদপুরের আদালতে নেওয়া হয়। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে সত্যজিতের স্ত্রী সুমিকা মজুমদার উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে বলেন, তার স্বামী জটিল শ্বাসকষ্টের রোগী। কারাগারে চিকিৎসা অবহেলায় তার জীবন শঙ্কা দেখা দিতে পারে। সাজানো ও বহুল বিতর্কিত ১৯ মামলায় তার অসুস্থ স্বামীকে আটক করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় তিনি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সহানুভূতি প্রত্যাশা করেন।

(পিএস/এএস/আগস্ট ২৪, ২০১৬)