স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ভারতের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দুর্বলতার কোনো সীমা নেই। আপনি ভারতের প্রতি এত দুর্বল কেন? দিয়েছি তো বহু, আর কত দিতে হবে?

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং সুন্দরবন’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে এমাজউদ্দীন এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এমাজউদ্দীন বলেন, ভারতের সবকিছু তাঁর কাছে পবিত্র মনে হয়। এই মানসিকতা আপনি পরিত্যাগ করুন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে সহায়তা করায় আপনাদের জনগণের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। এর একটা মূল্য আছে। এটা আমরা বহুদিন ধরেই শোধ করছি। আমার মনে হয়, জাতি হিসেবে আমাদের ৭৫-৮০ শতাংশ মানুষ ভারতবিরোধী। ভারতবিরোধী এই কারণে যে বর্তমান সরকারের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক। অথচ সম্পর্ক থাকা উচিত ছিল বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তো সেটাই বলে।

ভারতের উদ্দেশে এমাজউদ্দীন বলেন, এখনো সময় আছে, বাংলাদেশের জনস্বার্থে সংশোধন হোন। আমাদের আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে সচেতন হোন।

ভারতের ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কোম্পানিকে (এনটিপিসি) মায়ে তাড়ানো বাপে খেদানো কোম্পানি বলে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য বলেন, এই কোম্পানির স্থান বাংলাদেশে হবে না। দুর্নীতিপরায়ণ, দূষণপ্রিয় কোম্পানির কাছে আমরা আত্মবিক্রয় করার চেষ্টা করছি। এটা সম্পূর্ণ ভুল।

এমাজউদ্দীন আহমদ নির্মাণাধীন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে সুন্দরবন ধ্বংসকারী প্রকল্প আখ্যা দিয়ে তা বাতিল এবং সৌরবিদ্যুতের দিকে নজর দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক এহসানুল হক জসিম। তিনি বলেন, ছোট জাহাজে করে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে নদীপথে রামপালে কয়লা পাঠানো হবে। এতে বছরে ৪৭ লাখ ২০ হাজার টন কয়লা পুড়বে। প্রতিদিন জাহাজে করে আসবে ১৩ হাজার টনের বেশি কয়লা। এই পরিমাণ কয়লা সুন্দরবনের ক্ষতি করবেই।

সংগঠনের উপদেষ্টা আকবর হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান।

(ওএস/এএস/আগস্ট ২৫, ২০১৬)