বাগেরহাট প্রতিনিধি : নৌযান ধর্মঘটের চতুর্থ দিনে শুক্রবার মংলা বন্দরের বহিনোঙ্গরে ১১টি বিদেশী মাদার ভেসেলে পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহণ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় মংলা বন্দরের সাথে সারাদেশের নৌ যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মংলা বন্দরে আসা এসব জাহাজগুলোতে আটকে রয়েছে লাখ-লাখ মেট্রিক টন আমদানী পন্য।

মংলা বন্দর চ্যানেলে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় অলস পড়ে থাকা এসব জাহাজকে প্রতিদিন গড়ে কোটি টাকার এফওসি (ফিক্রড অপারেটিং কস্ট) গচ্ছা দিতে হচ্ছে। নৌযান শ্রমিকরা মংলার পশুর,শরণখোলার বলেশ্বর ও মোড়েলগঞ্জের পানগুছি নদীতে নোঙ্গর করে রেখেছে শত-শত কার্গো, কোস্টার, বার্জসহ লাইটারেজ জাহাজ। ফলে বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন মংলা বন্দর ব্যবহারকারী, আমদানীকারক ও ব্যবসায়ীরা। মংলা বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ হতে পণ্য খালাস করতে না পারায় ইতিমধ্যে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বন্দরের শিল্প-কলকারখানাগুলোতে।

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী ব্যবস্থাপক (ট্রফিক) মোহাম্মদ সোহাগ জানান, নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের নৌযান ধর্মঘটে চতুর্থ দিনেও মংলা বন্দরের বহিনোঙ্গরে গম, সার, ক্লিংকার, পাথর, মেশিনারীসহ ১১টি বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহণ কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে মংলা বন্দরে জাহাজ জট বাড়ার পাশাপাশি বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বন্দর ব্যবহারকারী ও আমদানীকারকরা।

সারাদেশে প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার নৌযানের ২ লাখ নৌ-শ্রমিক তাদের সর্বনিম্ন বেতন ১০ হাজার টাকায়, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিরপূরণ, নদীর নাব্যতা রক্ষা ও নৌপথে সন্ত্রাসী-ডাকাতি বন্ধসহ ১৫ দফা দাবীতে মঙ্গলবার রাত ১২টা ১মিনিট থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন নৌযান শ্রমিকেরা। নৌ শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় আহবায়ক ওয়েজুল ইসলাম বুলবুল জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের এই কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।

(একে/এএস/আগস্ট ২৬, ২০১৬)