বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে অতিবৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে চিংড়িসহ ৩”শ কোটি টাকার মাছ। পানিতে গলদা চিংড়িসহ মাছের ঘেরগুলো ভেসে যাওয়ায় ঘের মালিকরা (খামারীরা) আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

বিশেষ করে চিতলমারী উপজেলার প্রায় শতভাগ মৎস্য ঘের ভেসে যাওয়ায় সেখানকার ঘের মালিকরা পুঁজি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েছে। অনেক চাষির মাছের পাশাপাশি সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। ওই মাছ চাষিরা লোন পরিশোধে দুচিন্তায় পড়েছে। ঘের মালিকরা তাদের ঘেরের আইলে (উচুপাড়) জাল দিয়ে মাছ রক্ষার চেষ্টা করে পুঁজিটুকু ঠেকাতে পারেনি। ভেসে গেছে গলদা চিংড়িসহ রুই,কাতলা, মৃগেলসহ নানা প্রজাতির মাছ।

বাগেরহাট জেলার মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, রামপাল উপজেলায় ৬০ ভাগ, মোল্লাহাটে ৯০ ভাগ, কচুয়াতে ৮০ ভাগ, ফকিরহাটে ৭০ ভাগ, চিতলমারিতে ৯৫ ভাগ, মোরেলগঞ্জে ৭০ ভাগ, মংলাতে ৮০ ভাগ ও সদর উপজেলায় ৭০ ভাগ চিংড়িসহ মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে। সরকারী হিসেবে বাগেরহাট জেলায় মোট ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৬ একর আয়তনের ৮৩ হাজার ৩২ টি চিংড়িসহ মাছের ঘের পানিতে ভেসে মাছ বের হয়ে গেছে।

চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ নিজাম উদ্দিন বলেন, চিতলমারী উপজেলার উপজেলার শতভাগ মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে। এতে ঘের মালিকরা কোটি কোটি টাকার ক্ষতিরমূখে পড়েছেন। এসব ক্ষতিগ্রস্ত ঘের মালিকদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আব্দুল অদুদ বলেন, দেশের মধ্যে চিংড়ি ও সাদা মাছ উৎপাদনে বাগেরহাট জেলা অন্যতম। টানা বর্ষণে এই জেলার মৎস্য চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেকে নেট দিয়ে মাছ রক্ষার চেষ্টা করে কোন সফল হয়নি। এজেলায় অতিবৃষ্টির পানিতে ভেসে চিংড়িসহ সাদা মাছের ক্ষতির পরিমান ৩’শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

(একে/এএস/আগস্ট ২৬, ২০১৬)