গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বিভিন্ন ইউনিয়ানে মাসকালাই চাষে ঝুকছেন কৃষকরা। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত মৌসুমের চেয়ে মাসকালাই উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে যাবে বলে আশা করেছেন কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের একটি সূত্র জানায়, মাসকালাই চাষাবাদের সময় এখনো হয়নি। তবে পরবর্তী বন্যার ভয়ে আগেভাগেই এ কালাই চাষ শুরু করছেন কৃষকরা।

উপজেলায় গত মৌসুমে মাসকালাই চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭০ হেক্টর। সেখানে চাষ হয়েছে ৮০ হেক্টর। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হেক্টর জমিতে মাসকালাই চাষ বেশি হয়েছে। উপজেলার মধ্যে মাসকালাই চাষের দিক থেকে পলাশবাড়ী উপজেলা বেশ উপযোগী।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রুহুল আমিন জানান, মাসকালাই চাষ মৌসুম শুরু না হওয়ায় চলতি মৌসুমে এখনো লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি। তবে কৃষকরা আগেভাগেই মাসকালাই চাষ শুরু করছেন। এতে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার গত মৌসুমের চেয়েও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করেন তিনি।

পলাশবাড়ী উপজেলার নিমদাশের ভিটা গ্রামের কৃষক খায়রুল ইসলাম জানান, অনেক সময় কার্তিক মাসে বন্যা দেখা দেয়। বন্যার পানিতে ডুবে খেতের কালাই নষ্ট হয়। এ কারণেই তিনি আগেভাগে জমি তৈরি করে নিয়ে তাতে মাসকালাইয়ের বীজ ছিটিয়ে (বয়ে) দিয়েছেন।

উপজেলার কাশিয়াবাড়ী এলাকার কৃষক সাজু জানান, তিনি কালাইয়ের আবাদ করার জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। ইতোমধ্যে একবিঘা (৩৩ শতক) জমিতে মাসকালাইয়ের বীজ বপন করেছেন।

একই গ্রামের কৃষক গফুর ফারাজি জানান, আগুর (আগে পাওয়া) ফসল বাজারে বিক্রি করে বেশি দাম পাওয়া যায়। তাই বেশি দাম পাওয়ার আশায় ভাদ্রের শুরুতেই জমিতে কালাই চাষ করছেন। তিনি আশা করেন, সবার আগে কালাই ঘরে তুলবেন।

উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের মহদীপুর গ্রামের কৃষক পরিতোষ জানান, বীজতলা জমি থেকে রোপা আমন চারা কয়েকদিন আগে তোলা শেষ হয়েছে। এখন ওই জমি তৈরি করছেন কালাইয়ের আবাদ করার জন্য। এ সপ্তাহের মধ্যেই তাতে কালাইয়ের বীজ ছিটিয়ে দেবেন।

উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের মরারীপুর গ্রামের কৃষক মিলন জানান, অল্প খরচে স্বল্প সময়ে কালাই চাষাবাদ হয়। তাছাড়া বাজারে বিক্রি করে এর ভালো দাম পাওয়া যায়। এ কারণেই চলতি মৌসুমে কালাই চাষে বেশি ঝুঁকছেন কৃষকরা।

(এসআইআর/এএস/আগস্ট ৩০, ২০১৬)