স্টাফ রিপোর্টার : ১৫ আগস্ট জাতির সবচেয়ে কলঙ্কময় দিন। এদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। বেঁচে চাই আমি আর রেহানা। শুধু তাই নয়, সেদিন আমি মা, ভাই, চাচা, ফুফাতো ভাই, ছোট্ট রাসেলকেও হারাই।

এভাবে নিজের স্বজন হারানোর বেদনার কথা বলছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পঁচাত্তরের পরও খুনি মোশতাক গাদ্দারি করেন। তিনি কিছুদিনের জন্যে রাষ্ট্রপতি হন। পরে তাকে সরিয়ে জিয়া ক্ষমতায় আসেন। খুনিদের পুরস্কৃত করেন, বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেন। সেদিন কাউকে পাশে পাইনি। পেয়েছিলাম শুধু দেশের মানুষকে।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাংলার মাটিতে বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান নিশ্চিত করা, শিক্ষার ব্যবস্থা করা। আমি তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চিন্তা করেছি, পরিকল্পনা করেছি।

পঁচাত্তরের সেই ভয়াবহ দিনের কথা স্মরণ করে বেদনার্ত হয়ে তিনি বলেন, আমরা দুই বোন সেদিন বিদেশে ছিলাম। প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি বাবা নেই। অনেকে বিচার চায়। আমরা যে এতো আপনজন হারালাম বিচারও চাইতে পারিনি। ইমডেমনিটি জারি করে মামলা জিডি করা যাবে না। থানায় যেতে পারিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি, ছোট্ট শিশুসহ নারী-পুরুষকে লাইন ধরে হত্যা করা হয়, নির্যাতন করা হয়।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‍আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সংসদ সদস্য একেএম রহমতউল্লাহ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন প্রমুখ।

(ওএস/এএস/আগস্ট ৩০, ২০১৬)