নিউজ ডেস্ক : একটি মেডিকেল কন্টিনজেন্টের নারী কমান্ডার হিসেবে জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন বাংলাদেশের মেডিকেল কন্টিনজেন্ট কমান্ডার কর্নেল ডা. নাজমা বেগম।

গত ১৬ আগস্ট মঙ্গলবার মেডেল প্যারেড অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি আইচাতু মিনদৌদো এই বিশেষ সম্মাননা জানান কর্নেল ডা. নাজমা বেগম ও তার দলকে।

আইভরিকোস্টে শান্তি মিশনে দৃষ্টান্তমূলক নেতৃত্ব ও জাতিসংঘকে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকেও ধন্যবাদ জানায় জাতিসংঘ। সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতিসংঘের বিশেষ সম্মাননা পান কর্নেল নাজমা। এছাড়াও ২০১৬ সালের জন্য ‘মিলিটারি জেন্ডার অ্যাডভোকেট অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কারের জন্য তাকে নির্বাচিত করেছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি অনুপস্থিত থাকায় তার পক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিবের ডেপুটি বিশেষ প্রতিনিধি এমবাই বাবাকার সিসি কর্নেল ডা. নাজমা বেগমের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।

এ সময়ে ফোর্স কমান্ডার মেজর জেনারেল দিদিয়ার এল’অতে ও ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম’বেমবা এম কেইতা উপস্থিত ছিলেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নারীদের মধ্যে প্রথমবারের মতো এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে গত ফেব্রুয়ারিতে আইভরিকোস্ট যান কর্নেল ডা. নাজমা বেগম। সেখানে পাঠানো ৫৬ সদস্যের মেডিকেল কন্টিনজেন্টে নারী কমান্ডার হিসেবে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

আইভরিকোস্টের পশ্চিমাঞ্চলীয় দালোয়া এলাকায় লেভেল-২ হাসপাতালে শান্তি রক্ষীদের চিকিৎসা সেবা দিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই মেডিকেল টিম নিরলসভাবে কাজ করেছে।

জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি মেডিকেল কন্টিনজেন্টের দলটিকে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করব। তারা স্থানীয় লোকজনকে যে চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে শুধু তার জন্যই নয় বরং কর্নেল নাজমা বেগম এর নেতৃত্ব দিয়েছেন সে জন্যও। তিনি জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথম একটি মেডিকেল কন্টিনজেন্টের নারী কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

(ওএস/এএস/আগস্ট ৩১, ২০১৬)