সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:ফরিদপুরের সালথা থানায় রুজুকৃত চাঞ্চল্যকর “ সপ্না ” গণধর্ষণ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন ভিকটিমের পরিবার ও এলাকাবাসী।

জানা যায়, পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলা চকবনদোলা গ্রামের রিক্সা চালক মামুন মিয়ার মেয়ে সপ্না আক্তার (২১) ওমানে চাকুরী করতো। এবছরের মার্চ মাসে ওমান থেকে সে বাংলাদেশে আসে। সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের উজিরপুর গ্রামের জাফর বিশ্বাসের ছেলে ইয়াছিন বিশ্বাসের সাথে স্বপ্নার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। গত ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ইং তারিখে ইয়াছিন বিশ্বাস সপ্নাকে ফোন করে উজিরপুর গ্রামে আসতে বলে। সপ্না কালিনগর বাজারে আসলে ইয়াছিন মটর সাইকেলে করে উজিরপুর গ্রামের নিরোধ বাড়ৈ এর বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর ইয়াছিন বিশ্বাস মেয়েটিকে নিয়ে বাগান থেকে বের হলে এলাকার লম্পট মনির খান, হেলাল মোল্যা, জুয়েল মোল্যা, তুষার মুন্সী, এনামুল লস্কর ও হাসান মিয়া গংরা জোরপূর্বক স্বপ্না আক্তারকে উক্ত বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এই লোম হর্ষক ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনার ব্যাপারে স্বপ্না আক্তার বাদী হয়ে ইয়াছিন বিশ্বাসসহ ৭জনকে আসামী করে গত ১৬ এপ্রিল সালথা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ডী এম বেলায়েত হোসেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩) ধারায় মামলাটি রুজু করে নিজেই তদন্তভার নেন। যাহার মামলা নং-০৯, তাং-১৬-০৪-১৬ ইং। মামলা রুজু হওয়ার সাথে সাথেই এএসপি ভাঙ্গা সার্কেল মোঃ শামচুল হক (পিপিএম) এর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি ডী এম বেলায়েত হোসেন আসামীদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলা রুজু হওয়ার ১০ ঘন্টার মধ্যে এজাহারভূক্ত আসামী হাসান মোল্যাকে গ্রেফতার করেন। হাসান মোল্যা এই লোম হর্ষক গণধর্ষণের ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে। পরবর্তীতে এজাহারভূক্ত আসামী তুষার মুন্সী ও মনির খানকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার তদন্ত শেষে এজাহারভূক্ত ৭জন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

এই লোম হর্ষক ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের অল্প সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করায় এএসপি মোঃ শামচুল হক পিপিএম এবং তদন্তকারী অফিসার ওসি ডী এম বেলায়েত হোসেন ভিকটিমের পরিবার ও এলাকাবাসীর কাছে প্রশংসিত হয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই নরপশুদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করেছেন এলাকাবাসী।






(এএনএইচ/এস/সেপ্টেম্বর০২,২০১৬)