প্রবীর সিকদার


একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকরের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে আমার মনে হচ্ছে, আওয়ামীলীগের সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নেতৃত্বের আসনে যোগ্য লোকটিই আসীন, তিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

কিন্তু দেশজুড়ে সেনার দায়িত্ব পালনকারী আওয়ামীলীগের পরীক্ষিত নেতা-কর্মী সমর্থকদের সরিয়ে হাইব্রিডরা ওই জায়গার দখল নিয়েছে। বলতে কোনো দ্বিধা নেই, আওয়ামীলীগ তথা শেখ হাসিনা যখন কোনো প্রতিকূলতার মুখোমুখি হবেন, তখন হাইব্রিডরা মুচকি হেসে দ্রুত মঞ্চ পাল্টে ফেলবেন। অভিমান ভেঙে আওয়ামীলীগের সাধারণ নেতা কর্মী সমর্থকেরা রুখে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো সর্বনাশ হয়ে যাবে। এতো দূর এসে কোনো অবস্থাতেই ওই সর্বনাশ মেনে নেওয়া যায় না।

আর একটি মুহূর্তও নষ্ট করা যাবে না। এখনই আওয়ামীলীগের পরীক্ষিত সাধারণ নেতা কর্মী সমর্থকদের অভিমান ভাঙাতে হবে। হয়রানি করতে অনেক পরীক্ষিত সাধারণ নেতা কর্মী সমর্থকদের সাজানো মামলায় ফাঁসিয়ে দলে নিস্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। ওই সব মিথ্যা মামলা সরিয়ে ওদেরকে দলের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে হবে এখনই। আর এই সব কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেই।

আমি বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সামনের কঠিন সময় তথা লড়াই মোকাবেলার জন্য দ্রুতই অতিথি পাখি হাইব্রিডদের সরিয়ে পরীক্ষিত সাধারণ নেতা কর্মী সমর্থকদের আবার মূল স্রোতে ফিরিয়ে এনে আওয়ামীলীগকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষম করে তুলবেন।

পঁচাত্তর আমাদের শিখিয়েছে, দল হিসেবে আওয়ামীলীগ নিস্ক্রিয় থাকলে দেশের কি ভয়াবহ পরিণতি হয় ! শেখ হাসিনা অবশ্যই সেই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি থেকে দেশকে বাঁচাতে সকল চেষ্টাই করবেন এবং তিনি সফল হবেন।