নিউজ ডেস্ক : আমাদের দেশে তো বটেই, বিশ্বে ডায়াবেটিস একটি বড় ধরনের সমস্যা হয়ে রয়ে গেছে। একবার যিনি আক্রান্ত হয়েছেন, চিরজীবন তাকে বয়ে বেড়াতে হয়েছে অনিরাময়যোগ্য রোগটি। যদিও একে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় রয়েছে নানারকম ওষুধপত্র প্রয়োগের পাশাপাশি জগিং ও হঁটাচলার মাধ্যমে। এই ওষুধপত্রের মধ্যে একটি হচ্ছে ইনসুলিন, যা নিতে হয় ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে। কিন্তু সব সময় নিতে কি আর ভাল লাগে, ব্যথাতো একটু লাগেই।

তবে এখন আর ইনসুলিন নিতে চিন্তার কোনো কারণ নেই, কেননা ইঞ্জেকশন নিতে হবে না। তবে এর বদলে খেতে হবে ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল, যা অত্যন্ত ফলদায়ক ও ইনসুলিনের মতোই কার্যকর। এটি (ইনসুলিন) খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্তে চিনির মাত্রা দ্রুত স্বাভাবিক স্তরে নেমে আসবে।

যুক্তরাজ্যের সান পত্রিকায় বলা হয়, এই ক্যাপসুলটি ব্যবহার করে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যে প্রতিদিন ৪০ লাখ মানুষ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ইনসুলিন নেওয়ার হাত থেকে রেহাই যাবে।

এই ক্যাপসুল তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নায়াগ্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষজ্ঞ দল। এটি খাওয়ার পরপরই পৌঁছে যাবে পাকস্থলীতে। এরপর ইনসুলিন উৎপাদন করে ছড়িয়ে দিবে রক্তে। নতুন এই পদ্ধতিকে বলা হয় কলেস্টোসোম।

এতে ব্রিটেনের ৪০ লাখ ডায়াবেটিস রোগী দৈনিক ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ইনসুলিন নেয়ার হাত থেকে রেহাই পাবে।

গবেষক দলের প্রধান প্রফেসর ম্যারি ম্যাককোর্ট বলেছেন, ‘আমরা কলেস্টোসোম নামে নতুন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছি।

গবেষকরা তাদের এই নতুন উদ্ভাবন ফিলাডেলফিয়ার আমেরিকান কেমিকেল সোসাইটির জাতীয় সভায় উপস্থাপন করবেন। তবে এর আগে তারা প্রাণী দেহের উপর আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। এরপর এই ক্যাপসুল বাজারজাত করা হবে।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৬)

ইনসুলিন