মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনির ঠেঙ্গামারা গ্রামের মা ও দেড় বছরের ছেলেসহ মোটরসাইকেল চালক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। এসময় নিহতের বাবা গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের কালকিনির পৌর এলাকার দক্ষিণ ঠেঙ্গামারা গ্রামের হোসেন বেপারীর ছেলে অটোরিকসা চালক সোহেল হোসেন বেপারী মঙ্গলবার বিকেলে দেড় বছরের ছেলে ইয়ামিন ও স্ত্রী ইয়াসমিন বেগমকে নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি পিরোজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বরিশাল আসার পর সেখান থেকে পিরোজপুর পর্যন্ত একটি মোটরসাইকেল ভাড়ায় ঠিক করে। স্বপরিবারে সেই মোটরসাইকেলে করে রওনা দেয়।
রাত ৯টার দিকে বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা এলাকায় এলে মোটরসাইকেল ও একটি যাত্রীবাহী বিআরটিসি বাসের মুখোমুখি সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে ঝালকাঠি শহরের কৃষ্ণকাঠি এলাকার নূর হোসেনের ছেলে মোটর সাইকেল চালক শহিদুল ইসলাম ও দেড় বছরের শিশু ইয়ামিন মারা যায়।
আশংকাজনক অবস্থায় নিহত ইয়ামিনের মা ইয়াসমিন ও বাবা সোহেলকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আহত ইয়াসমিন চিকিৎসাধীন অবস্থা ঐ দিন রাতে ১১টার দিকে মারা যায়।
এদিকে মাদারীপুরের কালকিনির ঠেঙ্গামারা গ্রামে রাতেই এ খবর আসার পর শোক নেমে আসে। নিহতের পরিবারের অন্য সদস্যরা রাতেই বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত সোহেলের কাছে ও ইয়াসমিন এবং ইয়ামিনের লাশ নেয়ার জন্য ঝালকাঠিসহ ইয়াসমিনের বাবার বাড়ি পিরোজপুরে চলে যায়। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ ২টি কালকিনিতে এসে পৌছায়নি।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদার কাছে মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
(এএসএ/এএস/জুন ১১, ২০১৪)