নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর সাপাহারে এবার আমন চাষাবাদে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পানি নির্ভর ঠাঁঠাঁ বরেন্দ্র অঞ্চলের এই উপজেলায় এবারে বৃষ্টিপাত চাষীদের অনুকুলে থাকায় কৃষকরা মঙ্গার বাজারে পানির দামে ঘরের ধান-চাল বিক্রি করে অধিক মূল্যে সার বীজ কিনে আশায় বুক বেঁধে এবার রোপা আমন চাষাবাদ করেছে।

এ পর্যন্ত আবহাওয়া চাষীদের অনুকুলে থাকায় সারা মাঠ সবুজের সমাহারে ভরে গেছে। যে দিকে তাকানো যায়, সে দিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। মাঠের ধান গাছগুলির এখন কাঁচাথোড় অবস্থা হয়ে উঠেছে। আর কয়েক দিন পর ধান গাছগুলি গামড় অর্থাৎ পেটে ধান ভর্তি হয়ে উঠবে। এখনও মাঠের ধান ক্ষেতে অনিষ্টকারী কোন পোকা মাকড়ের উল্লেখযোগ্য উপদ্রব না থাকায় মাঠ চাষীদের অনুকুলেই রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবারে উফশি আমন ও স্থানীয় জাতের আমন মিলে এবার সাপাহারে সর্বমোট ১৭হাজার ৬শ’ ৩০হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ হয়েছে। যা অর্জিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি। কৃষকদের মাঠে ধান ক্ষেতে যাতে অনিষ্টকারী কোন পোকামাকড় ক্ষতি করতে না পারে, সে জন্য প্রতিদিন কৃষি অফিসের ব্লক সুপার ভাইজারগন কৃষকদের সঙ্গে মাঠে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে প্রত্যেক কৃষককে পরামর্শ মুলক হ্যান্ডবিল বিতরণ করে চলেছেন বলে কৃষি কর্মকর্তা এ এফ এম গোলাম ফারুক হোসেন জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া চাষীদের অনুকূলে থাকায় ক্ষেতের ধান দেখে কৃষকের মনে আনন্দের দোলা লেগেছে। পিছলডাঙ্গা গ্রামের কৃষক দেলোয়ার, মমিন, আব্দুল হাকিম, খোদ্রনালী গ্রামের সারোয়ার হাসেন বাবু, বাসুলডাঙ্গা গ্রামের আবুল কালামসহ একাধীক কৃষক জানান, শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া চাষীদের অনুকুলে থাকলে এবারে উপজেলায় আমন চাষাবাদে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এবারে বাম্পার ফলন হলে কৃষকরা একটু আনন্দে নবান্ন উৎসব পালন করতে পারবে। সেই সঙ্গে পুষিয়ে নিতে পারবে বিগত দিনের ফসলের ক্ষতি।

প্রতি বছর এ উপজেলায় চাহিদার তুলনায় অধিক পরিমান খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়ে থাকে। এবারেও উপজেলার চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য জেলার অন্যান্য উপজেলায় রপ্তানী করা যাবে বলেও সচেতন কৃষক ও কৃষি দপ্তর জানিয়েছেন।

(বিএম/এএস/সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬)