গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নিখোঁজের ৮ দিন পর সোমবার বেলা ১২টার দিকে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে গলাকাটা অবস্থায় ইব্রাহীম খলিল (২০) নামে এক যুবককের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওয়াজেদ আলীর বাড়িতে নিহতের স্বজন ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে বাড়ীঘর ও মালামাল ভস্মিভূত করে। নিহত খলিল গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের শক্তিপুর (নামাপাড়া) গ্রামের অছিম উদ্দিন কবিরাজের ছেলে। এ ঘটনায় ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী হাওয়া বেগম(৪৫)কে পুলিশ আটক করেছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত সরকার জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর রবিবার খলিল নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পায়নি। সোমবার সকালে উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের নয়ারহাট (পেপুলিয়া) গ্রামের ওয়াজেদ আলীর বাড়ির অদূরে একটি সেপটি ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধের সুত্র ধরে খলিলের গলাকাটা লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে নয়ারহাট (পেপুলিয়া) গ্রামের ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী হাওয়া বেগমকে আটক করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, খলিলের গলাকাটা ও শরীরে জখমের চিহৃ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যার পর তার লাশ সেপটি ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয়রা জানান, খলিলের সঙ্গে বনগ্রামের ওয়াজেদ আলীর মেয়ে কলেজ ছাত্রী আছিয়া আক্তার সিমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হলে সিমার বাবা তাকে শাসন করে। পরে সিমা গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিষপানে আত্মহত্যা করে এবং প্রেম সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে খলিলুরকে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টা করা হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

এদিকে, খলিলের লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে তার স্বজন ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সিমার পিতা ওয়াজেদ আলীর বসতবাড়ীতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে আগুনে পুড়ে ৫/৬ ঘর ও মালামালা ভস্মিভূত হয়। পরে গোবিন্দগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও কোন মালামাল রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

(এসআরডি/এএস/সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬)