বাগেরহাট প্রতিনিধি : ডাকাতি ও হত্যা মামলায় বাগেরহাটে এক জনের ফাঁসি এবং চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এ দণ্ডাদেশ দেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সোহেল শেখ (২৬) বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার সানকি ভাঙা গ্রামের আমির আলী শেখের ছেলে।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- খুলনার টুটপাড়া এলাকার আল-আমিন ওরফে তুহিন (২৫), রুপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামের সোহাগ ওরফে জাহিদ (৩০), বটিয়াঘাট উপজেলার গ্রামের গাও গ্রামের মহির শেখ ওরফে নাজমুল (২৭), রুপসা উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার জসিম (৩৫) এবং সোহেল শেখ।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৯ জুন রাতে আসামিরা বাগেরহাট সদর উপজেলার ফুলবাড়ি স্টিল ব্রিজ এলাকায় একটি মোটরসাইকেলের দুই আরোহীকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় মোটরসাইকেল নিয়ে পালানোর সময় স্থানীয়রা তাদের ধরতে ‍মহাসড়কের মহাদেবের মোড়ে বেরিকেড দেয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে আসামিরা মোটরসাইকেটি ফেলে পাশ্ববর্তী বড় পাইকপাড়া গ্রামের শহিন শেখের বাড়িতে আশ্রয় নিতে যান। এসময় শাহিন শেখ তাদের দেখে ডাকাত বলে চিৎকার করলে ছিনতাইকারীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে স্থানীয়রা সোহেল ও তুহিনকে আটক করে পুলিশে দেয়। এ বিষয়ে পরদিন ৩০ জুন মোটরসাইকেলের মালিক গৌরঙ্গ দেবনাথ বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি ডাকাতি ও হত্যার মামলা দায়ের করেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বাগেরহাটের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কাজী মনোয়ার হোসেন জানান, এ মামলায় সাত জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য এবং অনান্য তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দুপুরে বিচারক এ দণ্ডাদেশ দেন। এসময় ৩০২ ধারায় সোহেল শেখকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ডাকাতির অভিযোগে ৩৯৫ ধারায় সোহেলসহ পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৬)