নিউজ ডেস্ক : আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পালিত হচ্ছে দিবসটি। জনসাধারণের মধ্যে পর্যটন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এ বছরও জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ইউএনডব্লিউটিও-এর উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী দিনটি বিশ্ব পর্যটন দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

বাংলাদেশেও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় পালিত হচ্ছে দিবসটি। এ বছরের পর্যটন দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সকলের জন্য পর্যটন: সার্বজনীন পর্যটনের অভিগম্যতা।’

এবারের প্রতিপাদ্যে, পর্যটন কমান্ডে নারী, পুরুষ, বয়স্ক, যুবা, শিশু, স্বচ্ছল, অস্বচ্ছল, প্রতিবন্ধী সকল শ্রেণির মানুষের অংশ গ্রহণের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি রাজধানীর মৎস ভবনের সামনের সড়ক থেকে শুরু হয়ে হাইকোর্ট ও দোয়েল চত্বর হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এসে শেষ হয়। র‌্যালিটির উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক।

দিবসটির অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে সকাল সাড়ে ১০টায় টিএসসি চত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উদ্যোগে কেক কাটা হয়।

এরপর বিজনেস ফ্যাকাল্টির সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও বিকেলে টিএসসি চত্বরে লোক সংগীতের আয়োজন।

এছাড়াও বিকেল ৫টায় মহাখালীর হোটেল অবকাশের ব্যাংকুয়েট হলে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের উদ্যোগে পর্যটন দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এ বছর বিশ্ব পর্যটন দিবস বাংলাদেশের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে কারণ, বাংলাদেশে এ বছরটিকে ‘পর্যটন বর্ষ’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। পর্যটন ক্ষেত্রে অপার সম্ভবনাময় বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণগুলোকে দেশ-বিদেশের সকল শ্রেণির মানুষের নিকট তুলে ধরতে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৬)