নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর বাসাইলে ৮ সেপ্টেম্বর ডাকাতিকালে গ্রেফতার হওয়া ৪ জন আসলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য। কারাগারে আটক জেএমবি সদস্যদের ব্যয় নির্বাহের জন্য ব্যাংক, বিকাশ ও বাড়ি-ঘরে ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল তাদের।

ওই চারজনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে জামালপুর থেকে ফোঁড়া শাহিন নামে আরও এক জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আমেনা বেগম এই তথ্য জানান।

গ্রেফতাররা হলেন, মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানার মোসলেম মিয়া ব্যাপারীর ছেলে আলমগীর ওরফে ভেজাল আলমগীর, জামালপুর সদর থানার শহিদুল্লাহের ছেলে অনিল ওরফে রনি, একই জেলার মেলানদহ থানার খলিলুর রহমানের ছেলে ফোঁড়া শাহিন, চাঁদপুরের কচুয়ার মাহবুব আলমের ছেলে জুয়েল ও নরসিংদীর পলাশের শামসুল ইসলামের ছেলে কবির হোসেন।

পুলিশ সুপার আমেনা বেগম জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর নরসিংদী শহরের বাসাইলের একটি বাড়িতে ডাকাতিকালে আলমগীর, অনিল, জুয়েল ও কবিরকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু পুলিশের অভিযান টের পেয়ে তারা তাদের ব্যবহৃত মোবাইল সেট ও সিম নষ্ট করে ফেলে। এতে পুলিশের সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তাই জেলা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশের বিশেষ শাখা কাউন্টার টেরোরিজমসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।

একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃতরা জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য স্বীকার করে জানায়, কারাগারে আটক জেএমবি সদস্যদের ব্যয় নির্বাহের জন্য ব্যাংক, বিকাশ ও বাড়ি-ঘরে ডাকাতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেএমবি।

এরই প্রেক্ষিতে তারা মাঠ পর্যায়ে ডাকাতি করে সেই অর্থ সংগঠনে সরবরাহ করে। এর আগে নরসিংদী শহরে সংঘটিত একাধিক ডাকাতির ঘটনা তারাই ঘটিয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পুলিশ সুপার রেজওয়ান আহমেদ, সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান প্রমুখ।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৬)