যশোর প্রতিনিধি : দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলের ২৩ নম্বর শেডে আগুন লাগার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাফায়েত হোসেনকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বেনাপোল কাস্টমস থেকেও একটি আভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি করা হবে বলে জানান কাস্টমস কমিশনার শওকত হোসেন।

রবিবার ভোর ৫ টায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে বন্দরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র সেন জানান। পরে ফায়ার ব্রিগেড বেনাপোল স্টেশনের একটি ইউনিট, ঝিকরগাছা, যশোর ও মণিরামপুরের আরো ৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে, আগুনে ফায়ার সার্ভিসের রেজাউল ইসলাম নামে একজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আর হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে একটি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুন নেভাতে গেলেও তাদের ব্যবহার না করে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ৫ ঘণ্টা চেষ্টার পর সকাল ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস যশোরের সহকারী পরিচালক পরিমল চন্দ্র কুন্ডু ।

জানা গেছে, বন্দরের ২৩ নম্বর শেডে মূলত রাসায়নিক দ্রব্যাদি রাখা হয়। আগুনে সেগুলো পোড়ার পাশাপাশি পাশে খোলা আকাশের নিচে রাখা অন্যান্য কিছু মালামালও ভস্মীভূত হয়েছে। এতে কোটি কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বন্দরের পাশে বেনাপোল পোর্ট থানার একাংশ পুড়ে গেছে। পোর্ট থানার অভ্যন্তরে থাকা কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত পুড়ে গেছে। এছাড়া পোর্ট থানার সামনে থাকা জব্দকৃত একটি ভারতীয় ট্রাক, একটি প্রাইভেট কার ও কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়ে গেছে বলে জানান পোর্ট থানার ওসি অপূর্ব হাসান।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক আব্দুল জলিল জানান, অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি। আর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়। আমদানিকৃত অনেক পণ্য এখানে রাখা ছিল। কাগজপত্র না দেখে এ বিষয়ে বলা যাবে না।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলছেন, পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানোর সন্দেহ উড়িয়ে দেয়া যায় না। এর আগেও বেনাপোল বন্দরে এভাবে সন্দেহজনক আগুন লেগেছে। প্রতিবারই বন্দর কর্তৃপক্ষ শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত বলে হয়েছে বলে থাকেন।

বন্দরে আগুনের খবর পেয়ে শার্শার এমপি শেখ আফিল উদ্দিন, জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ০২, ২০১৬)